Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সরকারের গাফিলতিতে ই-কমার্সের নামে টাকা লুট: সংসদে রুমিন

সরকারের গাফিলতিতে ই-কমার্সের নামে টাকা লুট: সংসদে রুমিন

নিউজ ডেক্স : সরকারের গাফিলতির কারণে ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসার নামে প্রতারণা করে হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেছেন, পণ্য কিনতে যারা টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের টাকা সরকারকে ফিরিয়ে দিতে হবে। পরে সরকার ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করবে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি এ দাবি জানান। জাগো নিউজ

রুমিন ফারহানা বলেন, ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জসহ অনেকে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার সময়ই বোঝা গিয়েছিল যে, তারা প্রতারণা করবে। তারা অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির অফার দিয়েছিল। প্রচুর মানুষ বিনিয়োগ করেছে। এখন হাজার কোটি টাকা নিয়ে তারা আর পণ্য দিচ্ছে না। শুধু মানুষকে দোষ দিলে হবে না। এ প্রতিষ্ঠানগুলো গোপনে ব্যবসা করেনি। যে পরিমাণ বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা ব্যবসা করেছে, তাতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এটি না জানার কথা নয়। তারা ক্রিকেট দলের স্পন্সরও হয়েছিল।

বিএনপির এ এমপি বলেন, অন্য সবকিছু বাদ দিলেও প্রতিযোগিতা আইন অনুযায়ী, এ ধরনের ব্যবসা চলতে পারে না। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে টেলিটক জড়িত দাবি করে পয়েন্ট অব অর্ডারে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, অবৈধ ভিওআইপির ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কারণে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। মাসে ৩৭৫ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত টেলিটক। এ বিষয়ে তিনি জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন।

পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ তিনটি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করলে তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারদলীয় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, পরীমনির প্রতি বিএনপির হারুনের এতো আগ্রহ কেন? তিনি এ বক্তব্য এক্সপাঞ্জ (প্রত্যাহার) করার দাবি জানান। সংসদের আগামী অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দেবেন বলেও তিনি আশা করেন।

বিএনপির আরেক এমপি জি এম সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়া তার দলের নেত্রী আর সংসদে তার নেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যার মেগা প্রজেক্টে তিনি আনন্দ প্রকাশের পাশাপাশি এসব প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, গরিবদের জন্য করা ঘর ধসে পড়েছে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এগুলো হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয়েছে। জি এম সিরাজ দাবি করেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন পরিচালক তাকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর দুদকের তদন্ত থেমে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!