এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা জামেউল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার সুপার ও অফিস সহকারী মিলে পুরাতন কাগজ ব্যবসায়ী নিকট বিপুল পরিমাণ সরকারী পাঠ্যবই কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যগণ ঘটনাটি তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।
৩ ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, গত ১৬ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের সুপার মোঃ আবুল কাশেম ও অফিস সহকারী শামসুল আলম গোপনে গুদামে রক্ষিত বিপুল পরিমাণ সরকারী বই লোহাগাড়া আমিরাবাদের জনৈক পুরাতন কাগজ ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে দেন। বইগুলি অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে মাপঝোপ করা হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরে নুরুল ইসলাম ঘটনাটি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিভাবে জানান।
পরে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুপার আবুল কাশেমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ক্রেতার নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং বইয়ের মূল্য ৪ হাজার টাকা বলে লিখিতভাবে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তবে এর মূল্য আরো অধিক হতে পারে বলে এলাকাবাসীদের ধারণা।
উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরো জানান, সরকারী বিধান অমান্য করে নিরাপত্তা হেফাজতে রক্ষিত সরকারী পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠান রক্ষক কর্তৃক বিক্রি করা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্গন। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, মাদ্রাসার সুপার মোঃ আবুল কাশেম ও অফিস সহকারী শমসুল আলমের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।