ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ১৪

লোহাগাড়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ১৪

এলনিউজ২৪ডটকম :  লোহাগাড়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া ও সদর ইউনিয়নের লোহারদিঘীর পাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ভোর ৬টার দিকে জাঙ্গালিয়া এলাকায় কক্সবাজারমুখি একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে সড়কের পাশে গাছের সাথে আটকে যায়। দূর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস থেকে আহত যাত্রীরা বের হয়ে বিপরীতমুখি একটি এ্যাম্বুলেন্সকে দাঁড়ানোর জন্য সিগনাল দেয়। এ সময় কক্সবাজারমুখি পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সাথে এ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৬ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। পাথরবোঝাই ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্সের সম্মুখভাগ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা রুবেল আলম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

অপরদিকে, দুপুর ১টার দিকে লোহারদিঘরি পাড় এলাকায় কক্সবাজারমুখি প্রাইভেটকারের সাথে বিপরীতমুখি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে প্রাইভেটকারটি সড়কের পাশে গাছের সাথে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের পুত্র সিএনজি অটোরিক্সা চালক মো. আলমগীর (২৫), লোহার দীঘির পাড় এলাকার মোশাররফ হোসেনের কন্যা আছমা আকতার (২০), সদর ইউনিয়নের রশিদের পাড়ার নবী হোসেনের পুত্র তারেক (২০), প্রাইভেটকারে যাত্রী মিরপুর ১নং এলাকার বাসিন্দা একই পরিবারের নুরুল ইসলাম কামাল (৭০), রৌশন আরা (৬০) ও তাদের পুত্র দিপু (৩২) পুত্রবধু শাবলা (৩২) ও নাতনী আরিয়ানা (৬)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দুমড়ে-মুচড়ে গেছে উভয় গাড়ির সম্মুখভাগ। আহতদের মধ্যে সিএনজি অটোরিক্সা চালক আলমগীরের অবস্থা গুরতর বলে জানা গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এরমধ্যে একইমুখি-বিপরীতমুখি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়া, পথচারীকে চাপা দেয়া সহ নানাভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর পাশাপাশি বহু মানুষ আহত হচ্ছেন। দুর্ঘটনা বৃদ্ধির জন্য অন্যতম কারণ হল, চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, হেল্পারকে দিয়ে গাড়ি চালানো, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক, সড়কে চলাচলে পথচারীদের অসতর্কতা, ওভারটেকিং, দীর্ঘক্ষণ বিরতিহীন গাড়ি চালানো, জনবহুল এলাকাসহ দূরপাল্লার সড়কে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, সড়কের উপর গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা করা, অপ্রশস্ত সড়ক, লবণ পানিতে পিচ্ছিল মহাসড়ক, বিপদজনক বাঁক, মহাসড়কে ধীর গতির ছোট যানবাহন চলাচল, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে গাড়ি চলাচল, সড়কের দু’পাশে অনেকগুলো হাট বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রতিবছর সংস্কারের ফলে মহাসড়কের দু’পাশে অসমান অংশের দূরত্ব বৃদ্ধি।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মুহাম্মদ এরফান জানান, খবর পেয়ে দূর্ঘটনাস্থলগুলোতে দ্রুত ফোর্স পাঠানো হয়। জাঙ্গালিয়া এলাকায় দূর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস, এ্যাম্বুলেন্স ও লোহারদিঘীর পাড় এলাকায় দূর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিক্সা হাইওয়ে থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!