Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বিএনপির মঞ্চ ভাংচুর, মারধরে নেতারা আহত: প্রতিবাদে লাঠি সমাবেশ

বিএনপির মঞ্চ ভাংচুর, মারধরে নেতারা আহত: প্রতিবাদে লাঠি সমাবেশ

নিউজ ডেক্স : মুক্তাগাছা উপজেলার ১ নম্বর দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল রোববার (১৩ নভেম্বর)। কিন্তু সমাবেশস্থলে ‘হামলা চালায়’ যুবলীগ।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিএনপির লাঠি সমাবেশের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

রোববার যুবলীগের হামলায় আহতরা হলেন- দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হায়দার রেজা আনাম (৫৭), বর্তমান সভাপতি কাজী আবুল হাসিম (৫০) ও যুবদল নেতা আশিকুর রহমান (৪০)।

দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির অপর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার সকালে দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে পূর্ব দুল্লা ঈদগাহ মাঠে মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। বিকেলে সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীরা সম্মেলন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। সম্মেলন মঞ্চ ভাংচুর ও প্যান্ডেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এতকিছুর পরও সম্মেলন স্থান থেকে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা অনড় ছিলেন। পরে দুপুরে আবারও যুবলীগ হামলা চালায়। এ সময় তাদের মারধরে আহত হন তিন নেতা। পরে সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়ে হয়ে লাঠি সমাবেশ করে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক  হাবিবুর রহমান খান রতন, যুগ্ম আহ্বায়ক  কামরুজ্জামান লেবু, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম রাজু প্রমুখ।

সমাবেশে জাকির হোসেন বাবলু বলেন, হামলাকারীদের কার্যক্রম মেয়ে লোকের মতো। যখন আমরা উপস্থিত থাকি না বা সমবেত হওয়ার আগেই তারা হামলা করে চলে যায়। তারা আমাদের মঞ্চ ভাংচুর করে পুড়িয়ে দিয়েছে, বিএনপির কয়েকজন নেতাকে মারধর করেছে। এই অবস্থায় আমদের কি আর ভদ্র লোক থাকার সুযোগ আছে?

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের সাথে নিয়ে আমরা হামলাকারীদের প্রতিহত করব। পরিকল্পিতভাবে যারা হামলা করেছে তাদের তালিকা তৈরি করুন। ঘরে ঢুকে ঢুকে মারব। কিছু বলি না মানে আমরা দুর্বল না, আমরা এখানে ইউনিয়নের নেতা নির্বাচন করতে এসেছি, ঝগড়া করার জন্য বা যুদ্ধ করার জন্য না। লাঠি নিয়ে আপনাদের আসার কথা না, কিন্তু কেন এসেছেন? কারণ তারা (যুবলীগ) অন্যায় করেছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।

১ নম্বর দুল্লা ইউনিয়ন যুবলীগের কোনো নেতাকর্মী রোববারের ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ ধরনের কোনো ঘটনা বা অভিযোগ তিনি জানেন না। -বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!