Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বাজারে প্রচুর সবজি, তবুও কমছে না দাম

বাজারে প্রচুর সবজি, তবুও কমছে না দাম

vegebg20171102113300

নিউজ ডেক্স : বৃষ্টি হলেও সবজির বাজারে সরবরাহে প্রভাব পড়েনি। বরং বেড়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ বিক্রেতারাই। তবু দাম কমেনি। বরং গত সপ্তাহের বর্ধিত দামেই বিক্রি হয়েছে বেশির ভাগ সবজি। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে প্রচুর সবজি আসছে। তবুও দাম কমছে না। সরবরাহে ঘাটতি’র অভিযোগে গত সপ্তাহে দাম বাড়ানো হয়েছিল। এখন সরবরাহ বাড়লেও কমানো হয় নি। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের মনিটরিং চান তারা।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একই সবজির দাম বাজার ভেদে ভিন্ন। এটা নিয়েও আছে ক্রেতাদের অভিযোগ। এর মধ্যে কাজীর দেউড়ি বাজারে গতকাল প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছিল। তবে বহাদ্দারহাট কাঁচা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকায়। অবশ্য গত সপ্তাহে সেখানে বিক্রি হয়েছিল ২৫ টাকায়। বহাদ্দারহাট বাজারে গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আবার একই বেগুন কাজীর দেউড়ি বাজারে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। এছাড়া কাজীর দেউড়ি বাজারে গতকাল ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৮০ টাকা। শসা গত সপ্তাহের ন্যায় ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা থেকে কমে ৭০ টাকায়, ৪০ টাকা বেড়ে শিম ১৪০ টাকায়, কাঁকড়ল ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহের অপরিবর্তিত দামে তিতকরলা ৩৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কচুর চরা ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া (কাঁচা) ৪০ টাকা ও পাঁকা মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়।

কাজীর দেউড়ি বাজারের ব্যবসায়ী আজম বলেন, সরবরাহ ভাল থাকায় এ সপ্তাহে দাম বাড়েনি। বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে। কাজীর দেউড়ি বাজারে কথা হয় গৃহিণী নাজমা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে ঠিকই। কিন্তু সেটা এখনো বেশিই।

এদিকে বহাদ্দারহাট বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা পেপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, আলু ২৮ টাকা, পটল ৫৫ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, তিতকরলা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বহাদ্দারহাট কাঁচা বাজারে কথা হয় ক্রেতা আরমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, দাম তো এখনো অনেক বেশি। কমেই না।

এদিকে মাংস ও মাছের বাজারে দাম ছিল স্থিতিশীল। গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। মুরগি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। এছাড়া রুপচাঁদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাতাল ২৬০ টাকা, নাইলেটিকা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।

সূত্র : দৈনিক আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!