______ ফিরোজা সামাদ______
তুমি কী জানো রাতের নিস্তব্ধতা নীরব আঘাতে
ছুঁয়ে যায় আমার অন্তরাত্মা
তিমির আঁধারের বুকে লুটিয়ে গড়াগড়ি খায়
আমার নিযুতকোটি সমস্ত বিষন্নতা
আজ আমার নিজেকে মনে হয় প্রস্তর যুগের ফসিল
উত্তরের হিমেল হাওয়ার ঝাপটা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় আমায়
আমি শোক তাপ ও ক্লান্তি ভুলে হিমেল হাওয়ার অবগাহন দেখতে থাকি সবুজ পাতার দোল খাওয়ার মাঝে ||
অবচেতন মনে তোমার বুকের মাঝখানে মাথা রেখে সারারাত জেগে থাকি আমি বিমূর্ত এক নিথর দেহে,
তোমায় খুঁজতে থাকে আমার সর্ব ইন্দ্রীয়
শয়নেস্বপনে জাগরণে আমার অজান্তেই!
আমার নোনা অশ্রুজলে জ্বলে ওঠে
দাবানলের তীব্র লেলিহান শিখা আর
আগ্নেয়গিরির অসহনীয় দহন ||
আমার চেতনার সেই প্রিয় মানুষ তুমি আজ কোন গ্রহে নতুনরূপে জন্ম নিয়ে আলোর রোশনাই ছড়িয়ে প্রদক্ষিণ করে চলেছো অনবরত?
আমি নিত্য কড়ে আঙুলে হিসেব গুনে গুনে সময় পার করছি আর দেখছি কী করে সময় গড়িয়ে বড্ড অবেলায় দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে মাত্র তিনমাস পরেই ||
আমার সবুজ চোখে আজ কুয়াশা ঘেরা
দৃষ্টিতে ধূলির আস্তরণ, চলার পথ বন্ধুর!
চারিদিকে গোরস্তানের রাতের নিস্তব্ধতা!
হৃদয়ের উঠোন চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদে ফাটলে চৌচির
আবার কখনো বা চৈতালি ঝড়ে লণ্ডভণ্ড করে দেয়!
যা আমি তোমায় ভেবেই মমতায় জড়িয়ে নেই নিবিড় আলিঙ্গনে ||