ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প: তৃতীয় ধাপে এডিবি দিচ্ছে ৪ হাজার ৩২০ কোটি টাকা

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প: তৃতীয় ধাপে এডিবি দিচ্ছে ৪ হাজার ৩২০ কোটি টাকা

নিউজ ডেক্স : পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় আনার প্রকল্পে তৃতীয় ধাপে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ৩৬ কোটি ৮৩ লাখ ইউরো দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। গতকাল এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির মধ্যে চুক্তি হয়েছে।

ঢাকার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে ইআরডির সচিব শরিফা খান এবং এডিবির আবাসিক কার্যালয়ের ইনচার্জ জিনাংবো নিং সই করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইআরডি। খবর বিডিনিউজের।

চুক্তি অনুযায়ী এ ঋণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন আন্তঃব্যাংক রেটের (ইউরোবর) সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদ যোগ করে পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া এ ঋণের জন্য শূন্য দশমিক ১ শতাংশ ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম এবং অবিতরণ করা ঋণের ওপর আরও শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। বর্তমানে ২৫ বছরের ইউরোবর এর সুদহার ৫ শতাংশের মতো।

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের বেশিরভাগে শেষ হয়েছে। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে এডিবির মোট ১৫০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে দ্বিতীয় ধাপে ৪০ কোটি ডলার এবং তার আগে ২০১৭ সালের জুনে স্বাক্ষরিত আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে প্রথম কিস্তিতে সরকারকে ৩০ কোটি ডলার দেয়। এবার তৃতীয় ধাপে দেওয়া দিচ্ছে ৪০ কোটি ডলার।

বর্তমানে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন রয়েছে। সেখান থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার নতুন সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারের অগ্রাধিকার বা ফাস্ট ট্র্যাক তালিকার এ প্রকল্পের আওতায়। এর মাধ্যমে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি রেলওয়ে সংযোগ স্থাপন হবে। এ রুটে রেল চলাচল শুরু হলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে রেলওয়ের অংশীদারিত্ব বাড়বে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

প্রকল্পটির আওতায় ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার করিডোরের সঙ্গে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরকে যুক্ত করা সম্ভব হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গত মে মাসে প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে এ পথে রেল চলাচল শুরু হবে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!