Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | তাসফিয়া কীভাবে পতেঙ্গা গেল জানে না আদনান

তাসফিয়া কীভাবে পতেঙ্গা গেল জানে না আদনান

02-copy

নিউজ ডেক্স : তাসফিয়ার বন্ধু আদনানকে গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পতেঙ্গা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তত্ত্বাবধায়কের উপসি’তিতে আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহেদুল ইসলাম।

সূত্রটি জানায়, আদনানকে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন’ তাসফিয়া কী খুন হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য দেয়নি তদন্ত কর্মকর্তাকে। সে ঘটনার বিষয়ে পূর্বের কথাই বলেছে। আদনান তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছে, তাসফিয়া কীভাবে পতেঙ্গা গেল তা সে জানে না। শুধু বলেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় গোলপাহাড় মোড়ের ‘চায়না গ্রিল’ থেকে নেমে বাসায় যেতে একটি অটোরিকশায় তাসফিয়াকে তুলে দিয়েছে সে। এরপর আরেকটি অটোরিকশা নিয়ে প্রথমে ফুফুর বাসায়, সেখান থেকে একই অটোরিকশায় খুলশি জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাসায় চলে যায় আদনান। বাসায় চলে যাওয়ার পর তাসফিয়ার মায়ের ফোন পেয়ে একটি লাল টিশার্ট পরে তাদের ওআর নিজাম রোডের বাসায় যায় আদনান। এরপর তাসফিয়ার মা, বাবা ও বন্ধু সোহেলকে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত তাসফিয়ার খোঁজে শহরে ঘুরেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম আরও জানান, তাসফিয়ার জন্য ভাড়া করা অটোরিকশাটি গোলপাহাড় মোড়ে এসেছে শিল্পকলা একাডেমির দিক থেকে। পুলিশ তাসফিয়াকে বহনকারী অটোরিকশা চিহ্নিত করলেও সেটির নম্বর আজ শনাক্ত করা যায়নি। তবে ওই অটোরিকশার স্ক্রিনশট ঢাকার সিআইডি’র ল্যাবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এদিকে নম্বর শনাক্ত করতে চীনে পাঠানো অটোরিকশার সিসিটিভির ফুটেজের ফলাফল আগামী রোববার অথবা সোমবারের মধ্যে পুলিশের হাতে আসবে বলে জানা গেছে। এছাড়া তাসফিয়ার মৃত্যু রহস্য জানতে ভিসেরা রিপোর্টেরও অপেক্ষা করছে পুলিশ।

গত ১ মে সকালে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ১৮ নম্বর ব্রিজঘাটের পাথরের উপর থেকে সানশাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত লাশ মনে করা হলেও পরিচয় মেলার পর একই দিন সন্ধ্যায় খুলশি থানার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাসা থেকে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে (১৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ।

আদনান মির্জা নগরের বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তাসফিয়াকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে তার বাবা মো. আমীন গত ৩ মে দুপুরে আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আদনানকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গত ৪ মে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে গত ৬ মে আদালত পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারের তত্ত্বাবধায়কের উপসি’তিতে আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুমতি দেয়।

সূত্র : দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!