Home | সাহিত্য পাতা | তবুও আমিত তোমারি

তবুও আমিত তোমারি

Suvra 1

শুভ্রা নীলাঞ্জনা : অহেতুক রাগ বা অভিমান করে প্রিয়জনের সাথে দুম করে দীর্ঘসময় কথা বন্ধ করা ঠিক নয়। ফালতু রাগ অভিমান একসময় খুব প্রিয়জনের মাঝখানে একটা প্রাচীর তুলে দাঁড়ায়। একসময় হয়ত রাগ বা জমাট বাঁধা অভিমান জল হয়ে গড়িয়ে পরে ভুমিতে কিন্তু সময়টা আর থাকেনা হাতের মুঠোয়। লজ্জা বা ইগো এসে বাসা বাধে প্রাণ উচ্ছল হাসিখুশী হৃদয়টার ভিতরে। দু পক্ষই হয়ত ভাবে ও আগে কথা বলুক দেখা যায় কেউ আগ বাড়িয়ে বলছেনা।ইগোর কাছে পরাজিত হচ্ছে বারবারই। যাকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসা যায় ,দু দণ্ড না দেখলে হৃদয় পুড়ে যায় তার সাথে আবার কিসের মান অপমান। প্রিয়জন কে ফিরিয়ে আনতে হলে একজনকে সেই অভিমানের প্রাচীর টাকে ভাংতেই হবে। শুধু আগ বাড়িয়ে কথা বললে ছোট হয়ে যাব আমার পুরুষত্ব বা নারীত্বের অমপান হয়ে যাবে এই অহং এর ভিতর নিজেকে আমরা আটকে রেখে নিজে নিজে কেনকষ্ট পাব? আমার তো মনে হয় যে আগ বাড়িয়ে দেয়ালটা ভাংতে আসে সে আসলে বেশী সংবেদনশীল সেই আসলে অপর পক্ষের চেয়ে বেশী অনুভব করে ,বেশী ভালবাসে। অহং বা অভিমান বা রাগকে হারিয়ে দিয়ে তার ভালবাসাই জয়ী হয়। সেই হয়ত চোখের জলে বলতে পারে তুমি পারলেনা আমি পারলাম। আমি যদি না পারতাম তাহলে সারাটা জীবন আমাদের আর দেখা হতোনা । একটু ভুলের জন্য হয়ত অভিমান বা অহংবোধের প্রাচীরের ওপারেই থেকে যেতাম চিরটাকাল। তবে আর দেরী কেন ভেঙ্গে ফেলুন অভিমানের ঠোনকো প্রাচীর। তাই এখনই সেলফোনটা নিয়ে প্রিয়জনকে অবাক করে দিয়ে হ্যালো বলুন, অথবা সশরীরে হাজির হয়ে বলুন পারলাম না তোমার মত নিষ্ঠুর হতে………অথবা বলতে পারেন, কি পরীক্ষা নিবে তুমি আর বারবার, হাতে জপমালা নেই তবু আমিত তোমারি নাম মন্ত্রের মত করি উচ্চারণ সর্বক্ষণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!