Home | লোহাগাড়ার সংবাদ | চরম্বায় বনাঞ্চল ও লোকালয় ঘেষে কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে ইটভাটা

চরম্বায় বনাঞ্চল ও লোকালয় ঘেষে কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে ইটভাটা

260
এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের নাফারটিলা বাজারের পূর্বে নোয়ারবিলা এলাকায় বনাঞ্চল ও লোকালয় ঘেষে কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে নতুন ইটভাটা। জনৈক খোরশেদ আলম ও আবুল কালাম প্রকাশ বর্মা হাজিসহ কয়েকজন মিলে সরকারী নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ ইটভাটা গড়ে তুলছে বলে স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয়রা আরো জানিয়েছেন, বনাঞ্চল ও লোকালয় ঘেষে ইটভাটা গড়ে উঠলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে। উজাড় হবে বনাঞ্চল ও লোকালয়ের মানুষের জীবন-যাপন করা দুর্বিসহ হয়ে পড়বে। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার শফিকুর রহমান জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন অনুযায়ী কৃষিজমি, আবাসিক এলাকা, সরকারি বা ব্যক্তিগত বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমিতে ইটভাটা করা যাবে না নিয়ম থাকলেও প্রতি বছর চরম্বা  ইউনিয়নের কৃষি জমিতে নতুন ইটভাটা গড়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, রহস্যজনক কারণে বিনানুমতিতে ভাটাগুলো তৈরি শুরু হয়, তখন কোন বাধা দেয়া হয় না। ফলে চরম্বা ইউনিয়নে দিন দিন ইটভাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

চরম্বা নাফাটিলা বাজারের পূর্বে নোয়ারবিলা এলাকাতে স্থাপিত ইটভাটা মালিক খোরশেদ আলমের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে সবকিছু বলা সম্ভব নয় বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া ব্রীকফিল্ড মালিক সমিতির সভাপতি শাহাব উদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি চরম্বায় জনৈক খোরশেদ আলম ও আবুল কালাম প্রকাশ বর্মা হাজিসহ কয়েকজন মিলে সরকারী নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইটভাটা গড়ে তোলার ব্যাপারে অবগত নন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীম হোসেন জানান, কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করতে গেলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসারের ছাড়পত্র নেয়ার বিধান রয়েছে। তবে গতো দেড় বছরে এ উপজেলায় কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপনের জন্য কোন ছাড়পত্র দেননি বলে জানান তিনি।

লোহাগাড়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুব আলম জানান, জনৈক খোরশেদ আলম ও আবুল কালাম প্রকাশ বর্মা হাজিসহ কয়েকজন মিলে নতুন ইটভাটা গড়ে তোলার ব্যাপারে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। এছাড়ার উপজেলায় নতুন ইটভাটা গড়ে তোলার ব্যাপারে নিষেধও রয়েছে। তিনি আরো জানান, শীঘ্রই ওই নতুন ইটভাটা যারা গড়ে তুলছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (চট্টগ্রাম অঞ্চল) মোঃ মকবুল হোসেন জানান, খোঁজ-খবর নিয়ে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!