নিউজ ডেক্স : গৃহকর ইস্যুতে পূর্বের অবস্থানেই অনড় থাকছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অর্থাৎ ‘আইনি বাধ্যবাধকতা’ এবং ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ’ থাকায় ইতোপূর্বে যে পদ্ধতিতে (ভাড়ার ভিত্তিতে) ভবনের মূল্যায়ন (এসেসমেন্ট) করা হয়েছে তা বহাল রাখতে চান তিনি। এইক্ষেত্রে তিনি সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান পর্ষদের কাউন্সিলদের সহায়তাও প্রত্যাশা করেছেন। তবে প্রস্তাবিত গৃহকর নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে তা আপিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার পথ খোলা রেখেছেন তিনি।
গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের সঙ্গে গৃহকর নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন মেয়র। গৃহকর নিয়ে শহরজুড়ে করদাতাদের নানা অসন্তোষ ও চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এ বৈঠক করলেন মেয়র। দুর্ঘটনাজনিত শারীরিক অসুস্থতার জন্য বাসায় বিশ্রামে থাকা মেয়র ৪৫ দিন পর গতকাল বৈঠক উপলক্ষে নগর ভবনে আসেন।
বৈঠকে ৫ জন কাউন্সিলর বক্তব্য রাখেন। তারা পঞ্চবার্ষিকী মূল্যায়ন শেষে চসিকের প্রস্তাবিত গৃহকর (পৌরকর) নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে অসেন্তাষ সৃষ্টি হয়েছে তা মেয়রের দৃষ্টিতে আনেন। তখন মেয়র করবিধি ১৯৮৬ এর মাধ্যমে বিদ্যমান আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং এসেসমেন্ট করার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা কাউন্সিলরদের সামেন তুলে ধরেন। একই সঙ্গে মেয়র কাউন্সিলদের বলেন, ‘আপনারা মানুষকে বোঝান। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বৈঠক করে আপিল করতে উদ্বু্দ্ধ করুন। আপিলে সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া হবে। শহরের আদি বাসিন্দাদের ছাড় দেয়া হবে। কেউ যদি অযৌক্তিকভাবে কর ধার্য করা হয়েছে তা আপিল বোডের কাছে যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে সর্বোচ্চ ছাড়া পাবেন।’
বৈঠকে উপস্থিত এক কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘মেয়র তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন না। অর্থাৎ ভাড়ার ভিত্তিতে যে এসেসমেন্ট হয়েছে মেয়র সেটাই বহাল রাখবেন। তবে আপিলের মাধ্যমে মেয়র করের পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।’
তাহলে এই বৈঠক কেন? এমন প্রশ্নে ওই কাউন্সিলর বলেন, “১৮ অক্টোবর (আগামীকাল) মেয়র সংবাদ সম্মেলন করে ট্যাক্স নিয়ে তার সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করবেন। পরবর্তীতে যাতে মেয়রের বক্তব্যের সঙ্গে কাউন্সিলদের বক্তব্য সাংঘর্ষিক না হয় সেজন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন বৈঠক করে। বলা যায়, ওই বিষয়ে একধরনের ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন। যাতে সবাই এক থাকি।”
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলরের সঙ্গে আলাপকালে তারা দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন, ‘গৃহকর নির্ধারণে ভাড়ার ভিত্তিতে এসেসমেন্ট করার ফলে নগরবাসীকে দ্বৈতকর দিতে হবে। কারণ ভবন মালিকদের অনেকেই রাজস্ব বোর্ডকে আয়কর দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে মেয়রের দৃষ্টি আর্কষণ করেন কাউন্সিলররা। তখন মেয়র কাউন্সিলরদের বলেছেন, ‘দ্বৈতকর হলেও কিছু করার নেই। কারণ অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনেও তো ট্যাক্স আদায় করা হয়। ওইসব এলাকার লোকজন তো আর দ্বৈতকর নিয়ে প্রশ্ন তুলেননি। সরকার গেজেট করেই তো এই সিস্টেম করেছেন। তাই সেখান থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। তাছাড়া কাউকে না কাউকে তো আইন বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে হবে। শহরের স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে।’
তখন এক কাউন্সিলর আগের নিয়মে ট্যাক্স নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনায় আনার জন্য মেয়রের কাছে অনুরোধ করেন। এতে মেয়র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা নিজেরাই তো বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। জনগণকে কিভাবে বোঝানোর দায়িত্ব নিবেন। কেউ সন্তুষ্ট হবে আবার কেউ অসন্তুষ্ট হবে। সবাইকে একসাথে খুশি রেখে তো নগরীর উন্নয়ন করা যাবে না। আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নগরবাসীকে বোঝান, তারা যেন আপিল করেন। আপিল করলে আইন অনুসারে যথাসাধ্য কমানো হবে। এর বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘বৈঠকে কাউন্সিলররা বলছেন, ‘আপনি রাজনীতি করেন। মানুষের কথাটি বিবেচনা করে তাদের পাশে থাকতে হবে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে কর ধার্য করা হয়েছে এতে মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। রাজনীতিবিদ হিসেবে ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।’
কাউন্সিলরদের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মেয়র বলেন, ‘মানুষের জন্য রাজনীতি করি, এটা সত্য। কিন্তু প্রতিবার মেয়র–কাউন্সিলর হতে হবে এমন তো কথা নাই। আপনাদের ইচ্ছে আছে নাকি বারবার কাউন্সিলর হওয়ার?’ এ সময় মেয়র কাউন্সিলরদের এটাও বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী তো ট্যাক্স না বাড়িয়ে ১৭ বছর মেয়র ছিলেন। তাহলে উনি কেন ২ লাখ ভোটে মনজুর আলমের কাছে পরাজিত হয়েছেন? তার মানে মানুষ শুধু ট্যাক্সের বিষয়টাকে মূল্যায়ন করেন নি। তাই মানুষ কি যে মূল্যায়ন করে সেটা আরো ভেবে দেখা উচিত।’ মেয়র এটাও বলেন, ‘মানুষের প্রতি আমার আন্তরিকতা কম নেই। নগরবাসীর প্রতি আমার ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা আছে বলেই ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তার আলোকেও পুরোপুরি করটা ধার্য করি নি। ২০১৬ সালের গেজেট অনুসরণ করলে তো ৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্সের পাশাপাশি ৭ শতাংশ আর্বজনা রেইট, ৫ শতাংশ বিদ্যুতায়ন বা সড়কবাতি রেইট এবং ৮ শতাংশ স্বাস্থ্য রেইট আদায় করতে পারবো। কিন্তু আমি তো বর্ধিত স্বাস্থ্য রেইট এবং বিদ্যুতায়নের বর্ধিত রেইট নিচ্ছি না। বর্তমানে আমরা বিদ্যুতায়ন রেইট ধার্য করেছি ৩ শতাংশ। অথচ নতুন গেজেট অনুযায়ী ৫ শতাংশ নোয়ার সুযোগ আছে। এখান থেকে কি বোঝা যায় না, নগরবাসীর প্রতি আমার আন্তরিকতা আছে। তবুও এটা নিয়ে কথা কেন হচ্ছে।’
প্রস্তাবিত করের বিরুদ্ধে শহর যে আন্দোলন হচ্ছে তার জন্য আ জ ম নাছির সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মনজুর আলমকে দায়ি করেন বলেও বৈঠকে উপস্থিত এক কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আজাদীকে বলেন। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক কাউন্সিলরদের প্রতি ইঙ্গিত করে মেয়র বলেছেন, ‘রাজনৈতিক কারণে অপব্যাখ্যার মাধ্যমে মানুষকে উস্কে দিচ্ছেন। যারা আন্দোলন করছে তাদের সবাইকে আমি চিনি। কার কি উদ্দেশ্য সেটাও জানি।’
বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, “কাউন্সিলররা যার যার অবস্থান থেকে মেয়রকে কর নিয়ে মানুষের চাওয়ার বিষয়ে বলেছেন। জনগণের কণ্ঠ হয়ে তাদের কথা মেয়র মহোদয়ের কাছে তুলে ধরেছি। যেহেতু জনগণ আমাদেরকে তাদের প্রতিনিধি বানিয়েছেন তাদের কথা বলার জন্য। তাদের প হয়ে আমি আমার ওয়ার্ডের বিষয়টি মাননীয় মেয়র মহোদয়কে অবগত করেছি। সেখান থেকে মেয়র মহোদয়ের উত্তরটা ছিল, ‘এই চট্টগ্রামের আদি অধিবাসী তিনি। এই চট্টগ্রামের আলো–বাতাসে তিনি বড় হয়েছেন। জনগণই আজকে ওনাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন।’ তিনি বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাই তিনি বাস্তবায়ন করছেন। গেজেট অনুযায়ী এসেসমেন্ট করেছেন। এখন কেউ যদি মনে করে ভুল এসেসমেন্ট হয়েছে, অনেকের উপর অসহনীয়ভাবে চাপিয়ে দিয়েছেন, আগের চেয়ে করের পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে, যারাই এটা মনে করবে তারাই সে জায়গায় আপিল করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এবং আমাদের উদ্বুদ্ধ করতে বলেছেন, তারা যেন আপিল করেন। মেয়র এটাও বলেছেন, ইতোমধ্যে সাবেক মেয়র মনজুর আলমের মেয়াদের ১০ হাজার আপিল নিষ্পত্তি করেছেন। এবং এতে মানুষের সন্তোষ ছিল। কোথাও মনোমালিন্য হয় নি। এবারো জনগণ এই আস্থাটুকু রাখতে পারেন।”
বৈঠকে কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড কাউন্সির মোহাম্মদ ইসমাইল বালী দৈনিক আজাদীকে বলেন, “আমি বলেছি, চট্টগ্রামবাসী আপনাকে ভোট দিয়েছেন। আপনার কাছে তাদের চাওয়া–পাওয়া আছে। আপনি তাদেরকে খুশি করে দিন। এর জবাবে মেয়র বলেছেন, খুশি করে দিব। চট্টগ্রামের আদিবাসী তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে। গরিবদের পুরো ছাড় দেয়া হবে। মধ্যবিত্তদেরও ছাড় দেয়া হবে।” কাউন্সিলর বালি বলেন, “মানুষকে আপিল করতে বলেছেন। আপিল না করলে ছাড় কিভাবে দিবে?”
গতকালকের বৈঠকে প্যানেল চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী এবং নিছার উদ্দিন আহমেদও বক্তব্য রাখেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নিছার আহমেদ ব্যস্ত বলে উল্লেখ করে কথা বলেন নি। অপরদিকে হাসনী কল রিসিভি করেন নি। বৈঠকে মেয়রের বর্তমান অবস্থান আইনের মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কপিল উদ্দিন খান।
এদিকে চসিকের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কাউন্সিলরদের সঙ্গে চসিক মেয়র মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেছেন, নগরবাসী, হোল্ডারগণ এসেসমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে কোন জটিলতা বা অনিয়ম পরিলক্ষিত করলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ করে জটিলতা নিরসনের সুযোগ নিতে পারেন।
এসেসমেন্ট নিয়ে কোন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি থাকলে তা নিরসনের জন্য রিভিও বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলেও ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রতিটি রিভিও বোর্ডে মেয়রের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থাকবে। কমিটিতে মেয়র বা মেয়র মনোনীত ব্যক্তি চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করবেন। সাথে একজন কাউন্সিলর, একজন আইনজীবী ও একজন সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি যুক্ত করা হবে। এর বাইরে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে নগরীর মহল্লা সর্দারদের একজন প্রতিনিধি রিভিও বোর্ডে থাকবে। রিভিউ বোর্ড ট্যাক্স হোল্ডারদের আপত্তি ও অভিযোগ এবং নগরীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবীসহ নানা শ্রেণি ও পেশার অভিযোগ, দাবি ও আপত্তিসমূহ বিবেচনায় এনে পৌরকর চূড়ান্ত করার পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গরিব, অস্বচ্ছল হোল্ডারদের পৌরকর সম্পুর্ণ মওকুফ করা সহ আদি বাসিন্দদের বিষয়গুলো বিবেচনায় আনবেন মেয়র। মেয়র বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। নগরবাসীর স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপন, পরিবেশ বান্ধব পরিবেশ ও বাসোপযোগী নগরী গড়ার ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পানি নিষ্কাশন, নালা নর্দমা নির্মাণ ও সংস্কার, আলোকায়ন এবং আবর্জনা অপসারণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করা এ প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ। প্রশাসনিক ব্যয় ও উন্নয়ন হোল্ডারদের ট্যাক্সের উপর নির্ভরশীল। সরকারের প্রণোদনা, প্রকল্প ভিত্তিক অনুদান এবং নগরবাসীর প্রদেয় হোল্ডিং ট্যাক্সের উপর ভিত্তি করে চট্টগ্রামকে নান্দনিক নগরী গড়ার প্রত্যয়ে নগরবাসী তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। অঙ্গীকার ও দায়বদ্ধতা থেকে শতভাগ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা মেয়রের দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনে নগরীর সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন মেয়র।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গতকালকের সভায় ওয়ার্ড পর্যায়ে কর মেলা আয়োজন, রিভিও বোর্ডের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে এসেসমেন্ট সংক্রান্ত যে কোন জটিল বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকালকের সভায় ১১ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ৩৯ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সিটি কর্পোরেশন (কর) বিধি ১৯৮৬ এর ২১ অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এ এসেসমেন্ট হালনাগাদ বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই বাধ্যবাধকতার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ প্রথম দফায় নগরীর ১১টি ওয়ার্ডে ভবনের পুনর্মূল্যায়ন ‘এসেসমেন্ট’ শুরু করে চলতি বছরের ২০ জুন শেষ করে। দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর অবশিষ্ট ৩০টি ওয়াডে ‘এসেসমেন্ট’ শুরু করে এবং তা গত ১৫ জানুয়ারি শেষ করে। পঞ্চবার্ষিকী কর পুর্নমূল্যায়ন শেষে তা গত ৩১ আগস্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এরপর থেকে সাধারণ করদাতারা এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে তারা পূর্বের ন্যায় কর আদায়ের দাবি জানিয়ে আসছেন। এক্ষেত্রে ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। –আজাদী প্রতিবেদন