নিউজ ডেক্স : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের মূল কার্যক্রম আগামী ২০ জুলাইয়ের পর শুরু হতে পারে। চীন থেকে শক্তিশালী ড্রেজার আসার পর শুরু হতে পারে টানেলের প্রধান কাজ। এছাড়া বর্তমানে সাইট অফিস নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণ, অস’ায়ী শেড নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। গতকাল টানেলের মাসিক পর্যালোচান সভায় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের উপসি’তিতে এ তথ্য উপস’াপন করা হয়।
টানেল নির্মাণ প্রকল্পের উপপরিচালক অনুপম সাহা বলেন, টানেলের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম যথাযথ মান বজায় রেখে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলেন। এছাড়া শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। একই সাথে টানেলের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম যথাসময়ে শেষ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের কতটুকু কাজ হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ১৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে আগামী ২০ জুলাই চীন থেকে ড্রেজার আসার পর মূল কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে শ্রমিক শেড, প্রকল্প অফিস, রাস্তাঘাট নির্মাণ শেষ হয়েছে। এখন এপ্রোচ রোড নির্মাণের কার্যক্রম চলছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপসি’ত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ, সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ, নির্মাতা চায়না কোম্পানির ঢাকাস’ ম্যানেজার পেং মিং, কনসালটেন্ট ডেভিড কার্ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মমিনুর রশিদসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ।
উল্লেখ্য, কর্ণফুলীর তলদেশে দুই টিউবের টানেল নির্মিত হচ্ছে। চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। নেভাল একাডেমি এবং সিইউএফএল-কাফকোর মধ্যবর্তী স’ান দিয়ে টানেল নির্মিত হবে। এটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মাণাধীন আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের প্রান্তে পৌঁছানো যাবে এবং সহজেই কক্সবাজারমুখী গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এতে শহরের ভেতরে আর যানজট থাকবে না।