ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও

অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও

নিউজ ডেক্স : করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মাধ্যমিকের মতো প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। তবে সেটি গণ্য হবে ‘বাসার কাজ’ হিসেবে।

এ জন্য প্রতি সপ্তাহে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে ওয়ার্কশিট পৌঁছে দেবেন। সপ্তাহ শেষে তা এনে মূল্যায়ন করতে হবে। এ নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

ডিপিই থেকে জানা গেছে, মহামারি পরিস্থিতির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যুক্ত রাখতে টেলিভিশন ও কমিউনিটি রেডিওতে ক্লাস শুরু করা হলেও নানা প্রতিকূলতায় অনেকে এ আওতার বাইরে থাকছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বাসার কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিলেবাস অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রতি সপ্তাহে শিক্ষকরা নিজে গিয়ে বা যেকোনো মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাসার কাজ বুঝিয়ে দেবেন। সপ্তাহ শেষে তা সংগ্রহ করে মূল্যায়ন করবেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ভাগ করে নিয়ে নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট কাজ দেয়া ও নেয়ার দায়িত্ব পালন করবেন।

শিক্ষার্থীর বাসা দূরে হলে মোবাইলে বাসার কাজ বুঝিয়ে দিয়ে তা সংগ্রহ করে মূল্যায়ন করতে বলা হয়। কেউ যদি হোমওয়ার্ক বুঝতে না পারে তবে তার সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা বুঝে নিবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, বড় ভাই-বোন, প্রতিবেশী বা আত্মীয় স্বজনদেরও এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানানো হয়।

জানতে চাইলে ডিপিই’র মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুর আলম মঙ্গলবার (৪ মে) বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা নানা মাধ্যমে পড়ালেখা চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। টেলিভিশন-রেডিওতে ক্লাসের সঙ্গে বাসার কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিয়মিত শিক্ষকরা তাদের নিজ শিক্ষার্থীদের ভাগ করে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়ার্কশিট দেয়া ও নেয়ার দায়িত্ব পালন করবে। যতদিন স্কুল বন্ধ থাকবে ততদিন এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। যেহেতু প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে ধারণা নেই তাই এটিকে বাসার কাজ হিসেবে গণ্য করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শিক্ষা সুবিধা পৌঁছে দিতে সব পদ্ধতিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিয়মিত হোমওয়ার্ক কিভাবে দেয়া ও নেয়া হবে সে জন্য শিক্ষকদের একদিনের একটি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে পড়ালেখার মধ্যে রাখা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি। জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!