নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় পুকুরে ডুবে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আবুল ওয়াফা মো. শিহাবুদ্দিন (৬৩)।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিখোঁজ হওয়ার পর আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের মক্কার বাড়ির মরহুম আল্লামা আবুল বরাকাত মুহাম্মদ ফজলুল্লাহর পুত্র ও সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর বড় ভাই আবুল ওয়াফা মো. শিহাবুদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে নিখোঁজ হন।
এরপর থেকে পুলিশ, পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার লোকজন তাকে আশপাশের সব এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে আজ ভোর পাঁচটার দিকে বাড়ির পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর ভাগিনা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, “আমার মামা আবুল ওয়াফা মো. শিহাবুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ঘটনার দিন দুপুরে তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন লোক জানায়, তাকে বাড়ির পশ্চিমে পাহাড়ের দিকে যেতে দেখেছেন। ফলে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার লোকজন পুরোদিন ও রাতে আশপাশের গ্রাম ও পাহাড়ি এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেন কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আজ ভোরে বাড়ির পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মামার লাশ উদ্ধার করা হয়।”
মহিউদ্দিন আরো জানান, পুকুরে মামার লাশ পাওয়ার পর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজগুলো দেখা হয়। সেখানে দেখা যায়, মামা বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুর ঘাটে গিয়ে দাঁড়ান। এক পর্যায়ে অসতর্কতাবশতঃ তিনি পুকুরে পড়ে যান। এসময় পুকুরের পানিতে ডুবে তিনি মারা যান কিন্তু বিষয়টি বাড়ির কেউ বুঝে উঠতে পারেননি। সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পুকুর থেকে মামার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, “তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর শুরুতে আমরা কিছুটা বিভ্রান্তিকর তথ্য পেয়েছি। স্থানীয় কয়েকজন লোক জানায়, তাকে বাড়ির পশ্চিমে পাহাড়ি এলাকায় যেতে দেখেছে। এরই ভিত্তিতে পুলিশ, তার পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা পাহাড়ি এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে আজ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে বাড়ির পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।” দৈনিক আজাদী