নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-দোহাজারী ৪৭ কিমি রেলপথের মধ্যে ষোলশহর-দোহাজারী পর্যন্ত সাড়ে ৪০ কিমি নড়বড়ে রেলপথ আধুনিকায়নের কাজ আবারো পিছিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্যাকেজে সেপ্টেম্বরে কাজ শুরুর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আরো দুই মাস পিছিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ এই রেলপথটি। চট্টগ্রাম-ষোলশহর পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিমি রেলপথ আগে সংস্কার করা হয়েছে। ফলে এই সাড়ে ৬ কিমি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট রেলপথ সংস্কার করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতু এবং চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় পুরো সেতুটি মেরামত উপযোগী করে ট্রেন চালানোর জন্য বুয়েটকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সাড়ে ৮ কোটি টাকা পরামর্শক ফি’য়ের বিনিময়ে বুয়েট কাজ করতে রাজি হয়েছে। শীঘ্রই তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন সেতুর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) মো. আরমান হোসেন বলেন, ষোলশহর-দোহাজারী পর্যন্ত সাড়ে ৪০ কিমি রেলপথ সংস্কার কাজ নভেম্বরে শুরু হবে। এখন অফিসিয়ালি এইটুকু বলতে পারছি, এর বেশি আর বলতে পারছি না। সেপ্টেম্বরে কাজ শুরুর কথা ছিল। এখন পিছিয়ে গেছে।
এদিকে দোহাজারী-কঙবাজার রেললাইনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে আংশিক কাজ শেষ করে হলেও কঙবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে রেল কর্র্তৃপক্ষের।
চট্টগ্রাম-কঙবাজার রেললাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (এপিডি) আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ভালো। প্রায় ৫৩ থেকে ৫৪ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। কঙবাজার অংশে প্রায় শেষ। স্টেশন বিল্ডিংগুলোর কাজ চলছে পুরোদমে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইট, বালি, সিমেন্ট এবং লোহার দাম বেড়ে গেছে। আমাদের তো লোহার কাজ বেশি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানা গেছে, ষোলশহর-দোহাজারী পর্যন্ত সাড়ে ৪০ কিমি রেলপথ আধুনিকায়নের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। কয়েকটি প্যাকেজে টেন্ডার হয়েছিল। ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার টার্গেট ছিল। কিন্তু এখন সেই কাজ পিছিয়ে গেছে। এখন নভেম্বরে কাজ শুরু হলে শেষ হতে হতে মার্চ-এপ্রিল হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। -আজাদী প্রতিবেদন