Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | রক্তাক্ত দিল্লিতে নিহত বেড়ে ২৭

রক্তাক্ত দিল্লিতে নিহত বেড়ে ২৭

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভে উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা এলাকায় নতুন করে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার থেকে সংঘর্ষে দিল্লিতে কমপক্ষে ২৭ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন ২০০ জন।

বুধবার ভারতের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল নয়াদিল্লির সহিংসতাপূর্ণ এলাকায় পরিদর্শন করার কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় ভজনপুরা এলাকায় সংঘর্ষ হয়।

তবে দিল্লি পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা সহিংসতার অভিযোগে ১৮টি এফআইআর দাখিল করেছে এবং ১০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে কয়েকদিনের সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লির এলাকাগুলোর অনেক বাড়িঘর-দোকানপাটে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় নাশকতার এই আগুন থেকে বাদ পড়েনি মসজিদ-মাজারও। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় বাড়িঘর ছাড়ছে আতঙ্কিত মানুষজন। -জাগো নিউজ

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। পরদিন রাষ্ট্রপতি এই বিলে স্বাক্ষর করলে সেটি আইনে পরিণত হয়। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। তবে গত তিনদিন ধরে দিল্লিতে এই বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে। সেখানে মুসলিমদের বেছে বেছে মারধর, বাড়িতে আগুন, দোকানপাটে লুটপাট করছে বিজেপির সমর্থকরা।

গত তিনদিন ধরে দিল্লিতে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চললেও এ নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বুধবার নীরবতা ভেঙে এক বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।

এক টুইটে মোদি বলেছেন, তিনি বিরাজমান পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর পর্যবেক্ষণ করছিলেন। শান্তি এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মাঠে থেকে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী।

টুইটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নৈতিকতার ভিত্তি হলো শান্তি এবং সম্প্রীতি। আমাদের দিল্লির ভাই-বোনদের প্রতি শান্তি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে বুধবার সকালের নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দিল্লির অন্যান্য অংশেও কারফিউ জারি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ট্যুডে বলছে, নয়াদিল্লির মৌজপুর, জাফরাবাদ, চাঁদবাগ ও কারাওয়াল নগর এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। সহিংসতায় বিধ্বস্ত এলাকায় কারফিউ উপেক্ষা করে কেউ রাস্তায় নামলে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস ভারতের সহিংসতায় গভীর দৃষ্টি রাখছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফার্স্ট পোস্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!