নিউজ ডেক্স : ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন কিন্তু ঝামেলার ভয়ে করতে চাইছেন না। আপনি যদি না জানেন বা না বোঝেন, তাহলে অবশ্যই ঝামেলা। তবে আমাদের নির্দেশনা গুলো খেয়াল করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন, আশা করি ঝামেলা এড়িয়ে খুব সহজেই লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। লাইসেন্সের জন্য প্রথমে আপনাকে শিক্ষাণবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের (লার্নার) জন্য আবেদন করতে হবে।

আবেদন করতে যা যা লাগবে–
১.আবেদন ফর্ম
২.জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি কপি
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

এর বাইরে আর কোনোকিছুই প্রয়োজন নেই। বিআরটিএ অফিসে যাওয়ার আগেই অর্ধেক ঝামেলা মিটিয়ে ফেলুন। সব প্রস্তুত করে তবে সেখানে যান।
>অনলাইনে শিক্ষাণবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম পাওয়া যায়। আপনি এখান থেকে ক্লিক করেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন। কিংবা বিআরটিএ অফিসে গিয়েও ফরম পাবেন। তবে আগেই ডাউনলোড করে নিয়ে যাওয়া ভালো।
>ফরম পূরণ করে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে আপনার শারীরিক ফিটনেস বিষয়ে সত্যায়িত করে নিন। ফরমের দ্বিতীয়পাতাটিই মেডিকেল সার্টিফিকেট। সেখানে সত্যায়িত করে নিতে হবে।
বিআরটিএ অফিসে গিয়ে যা করবেন–
>জাতীয় পরিচয়পত্রের একটা ফটোকপি নিয়ে সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দেবেন। বাইক ও হালকা মোটরযান ৫১৮ টাকা। এভাবে আপনি যেটার লাইসেন্স করাতে চান সেই পরিমাণ টাকা জমা দেবেন। কোনো ফরম লাগবে না এখানে, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিই যথেষ্ট।
>টাকা জমা দেওয়ার রশিদ নিয়ে আর আপনার হাতে থাকা ফরম নিয়ে সোজা শিক্ষাণবীশ লাইসেন্স দেওয়ার কাউন্টারে চলে যান। অনেকেই নানা কারণে ডাকবে, পা ফেললেই দালাল। কারো দিকে তাকাবেন না। কাউন্টারে ফরম ও রশিদ জমা দিয়ে দিন। আপনার কাজ শেষ। ওইদিনই দুপুরের পরে শিক্ষাণবীশ লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
>শিক্ষাণবীশ লাইসেন্সে লেখা থাকবে পরীক্ষার তারিখ। নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেই। একইভাবে ফরমালিটিজ পালন করুন। এরপরেই কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন কাঙ্ক্ষিত লাইসেন্স।
>আপনার জন্য এই অংশটুকু খুবই জরুরি। দেখা গেল আপনি উত্তরায় থাকেন অথচ লাইসেন্স করাতে চাচ্ছেন মিরপুর বিআরটিএ থেকে, এক্ষেত্রে আপনাকে মিরপুরের ঠিকানা দিতে হবে। বিদ্যুৎ বিল বা অন্য কোনো ইউটিলিটি বিল দিতে হবে না। অন্য ঠিকানা দিতে গেলে ফেরত আসতে হবে সেদিন।