নিউজ ডেক্স : ভাসানচর বসবাসের উপযোগী কিনা তা দেখে এলেন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া ৪০ জন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি। ভাসানচরের অবকাঠামো নিয়ে প্রশংসা করলেও ক্যাম্পে ফিরে অনেক রোহিঙ্গার কণ্ঠে ভিন্ন সুর।
এদিকে, নিজ দেশে ফেরত না যাওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে রাখার সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজ। আর অনেক রোহিঙ্গাই ভাসানচরে যেতে রাজি হবে বলে মনে করছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
বসবাসের উপযোগী কিনা, তা দেখার জন্য নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর যান রোহিঙ্গাদের ৪০ জন প্রতিনিধি। গত রোববার ও সোমবার দুদিন রোহিঙ্গা নেতারা ঘুরে ঘুরে দেখেন খাদ্য গুদাম, থাকার ঘর, আশ্রয় সেন্টার, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, খেলার মাঠ ও কবরস্থানসহ মাছ চাষের পুকুর। এসব অবকাঠামো দেখে মুগ্ধ হন তারা। এরপর মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্পে ফিরে আসেন রোহিঙ্গারা।
কুতুপালংস্থ দুনম্বর ক্যাম্প। ভাসানচর ঘুরে এসে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাকারিয়া সেখানকার সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোর চিত্র তুলে ধরেন ক্যাম্পের অন্যান্য রোহিঙ্গাদের মাঝে। একই কথা তুলে ধরছেন ১৬ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা আবুল কালাম।
তারা বলছেন, ভাসানচর ভালো লেগেছে। তবে বলছেন ভিন্ন কথাও। মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, মসজিদের জায়গা, মাছ চাষ ইত্যাদি সবই আছে।
আবুল কালাম বলেন, সেখানে নিচু জায়গা। নিচু জায়গায় পানি উঠবে। পানি উঠলে মানুষ মারা যাবে। তাহলে সেখানে কেন যাবে? প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে তাই উখিয়া ও টেকনাফের উপর চাপ কমাতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাবার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সুশীল সমাজ।
সিভিল সোসাইটি সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, এটা নিয়ে দ্বিমত করা কোন অবস্থা আমি দেখছি না। কারণ এত সুন্দর জায়গা। আর অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের আশা, ঘিঞ্জি এই আশ্রয় শিবির থেকে ভাসানচরে যেতে অনেক রোহিঙ্গা সম্মত হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা বলেন, আশা করা যায়, পরিবেশ দেখেছে তারা, যেতে রাজি হবে। অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সময় নিউজ