নিউজ ডেক্স : ‘চট্টগ্রামের ৩০ লাখ মানুষ প্রতিবছর জলাবদ্ধতার শিকার। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার এত বেশি মানুষের শহর আর নেই।’ এই তথ্য জানান চট্টগ্রামের সাংসদ মঈনুদ্দিন খান বাদল। বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন বিষযয়ে কনভেনশন-পরবর্তী এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ফোরামের চেয়ারম্যান লন্ডনপ্রবাসী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ গণি, চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক পেশাজীবী সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, চট্টগ্রাম হলো ‘হার্ট অব বাংলাদেশ’। হার্টকে দুর্বল রাখলে যেমন ঝুঁকি তেমনি চট্টগ্রামকে অবহেলাও করা যাবে না। তিনি অচিরেই কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবি পুনরায় রুল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে সাংসদ বাদল জাতীয় সংসদে এক বক্তৃতায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন।
চট্টগ্রামের নাগরিক সংগঠক ও বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলী নদীতে ৬ ফুট আবর্জনা জমেছে। এর নব্বই শতাংশই জমাট পলিথিন। জাতীয় স্বার্থেই এই নদীর ক্যাপিটাল ও মেনটেইন্যান্স ড্রেজিং দরকার। চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর উদার সহযোগিতা নিয়ে যারা ‘নয়-ছয়’ করছেন তাদের নামে ঘৃণাস্তম্ভ করা হবে বলেও ঘোষণা দেন এই নাগরিক সংগঠক।
ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চাক্তাই খাল খননসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয় নিশ্চিত করার দাবি জানান।
তিনি লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প কাজের দুই মাস পরপর সমন্বয় সভা, জনগণের কাছে কাজের অগ্রগতি প্রদর্শন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) পর্যাপ্ত লোকবল দেয়াসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।