ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা একশ’ ছাড়ল

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা একশ’ ছাড়ল

Untitled-11-5b0dae1430c8e

নিউজ ডেক্স : ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একশ’ ছাড়াল নিহতের সংখ্যা। গতকাল মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১০৮ জন। ১৫ মে থেকে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে দু’জন নিহত হয় প্রথম। ১৪ দিনে একশ’ পেরিয়ে গেল তা। এ রকম অল্প সময়ে দেশে এত সংখ্যক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১১ জন। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৭ সালে পুরো বছরজুড়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছে ১৫৪ জন। পুলিশ-র‌্যাবের দাবি, চলমান অভিযানে নিহত সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ব্যাপারে শুরু থেকে নিন্দা জানিয়ে আসছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

মাদকবিরোধী অভিযানের সময় অভিযুক্ত আসামিদের মানবাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

ঘোষণা দিয়ে ১ রমজান (১৮ মে) থেকে ১০ দিনব্যাপী দেশজুড়ে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানের প্রথম পর্ব গত রোববার শেষ হওয়ার পরদিন থেকে আবারও দেশব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করে তারা। তবে ৪ মে থেকে পৃথকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাবও। কত দিন ধরে অভিযান চলবে- এটা নির্দিষ্টভাবে বলছে না কোনো সংস্থাই। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “মাদকের বিরুদ্ধে ‘অলআউট’ যুদ্ধে নেমেছি আমরা। নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।”

সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুলিশ একাডেমিতে ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘মাদক একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। এর ভয়াল থাবা থেকে সমাজকে বাঁচাতে হবে। মাদক সেবনকারী, ব্যবসায়ী, উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই নড়েচড়ে বসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সারাদেশে মাদকের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাপারে তালিকা তৈরি করেছে পাঁচটি সংস্থা। সব তালিকা মিলে দেশে মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট রয়েছেন প্রায় ৪ হাজার। সেখানে যাদের নাম রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে অভিযান। তবে ঢাকার কিছু বস্তি ও মাদকের আখড়ায় অভিযানের নামে ‘গণগ্রেফতার’ করা হয়। আবার কিছু জায়গায় আগাম ঘোষণা দিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে আয়োজন করে অভিযান চালায় পুলিশ। এতে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা যায়নি। যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তারা কেউ চুনোপুঁটি, না হয় মাদকসেবী। অভিযানে বড় ধরনের কোনো রাঘববোয়াল গ্রেফতারের তথ্য পাওয়া যায়নি এখনও। যদিও মাদকবিরোধী এ অভিযানে গতকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছেন ১০ হাজার সাতজন। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে গ্রেফতার প্রায় এক হাজার। মাদক-সংক্রান্ত মামলা হয়েছে সাত হাজার ৬৬৩টি। উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য। তার মধ্যে ইয়াবা ১৭ লাখ পিস, গাঁজা দুই হাজার ২২৬ কেজি, ফেনসিডিল ১৬ হাজার বোতল ও হেরোইন ২৩ কেজি।

সমকালের তথ্যানুসন্ধান ও পুলিশ-র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, অভিযান জোরদারের পর ১৫ মে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রথম দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। একদিন পর ১৭ মে নিহত হয় আরও দু’জন। পরের দিন ১৮ মে তিনজন ও ২০ মে নিহত হয় ছয়জন। ২১ মে সারাদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় নয় মাদক ব্যবসায়ী। পরের দিন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২, ২৩ মে আট, ২৪ মে ১১ জন, ২৫ মে ১০, ২৬ মে ১০, ২৭ মে ১১, ২৮ মে ১৩ ও ২৯ মে নিহত হয় ১১ জন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, নিহতের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬২ জন ও র‌্যাবের সঙ্গে ২৫ জন। আর নতুনভাবে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে কথিত গোলাগুলির কথাও বলছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যাতে এখন পর্যন্ত ২১ জন নিহত হয় বলে দাবি করছে পুলিশ।

‘বন্দুকযুদ্ধে’ সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে কুমিল্লায়। সেখানে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১২ জন। যশোরে আটজন, ঢাকায় তিনজন, কক্সবাজারে কাউন্সিলর একরামুল হকসহ চারজন, কুষ্টিয়ায় ছয়জন, দিনাজপুরে চারজন, চট্টগ্রামে চারজন, ময়মনসিংহে পাঁচজন ও নারায়ণগঞ্জে তিনজন রয়েছে। এ ছাড়া নীলফামারী, নেত্রকোনা, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, জামালপুর, জয়পুরহাট, রাজশাহী, বাগেরহাট, মাগুরা, টাঙ্গাইল, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের ৩৯টি জেলায়ও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত করতে অভিযান করতে হবে। আগামী প্রজন্মের কাছে মাদকমুক্ত দেশ রেখে যেতে হলে এর বিকল্প নেই। তবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে হবে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যাতে কোনো নিরপরাধ লোক ‘ভিক্টিমাইজ’ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

রিয়াজুল হক আরও বলেন, যে কোনো মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সেটা যাতে অহেতুক বিপন্ন না হয় সেদিকে নজর রাখা দরকার। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাদক সংশ্নিষ্ট ঘটনায় যাদের তালিকা করেছেন সেটা অনুসরণ করেই অভিযান চলতে পারে। আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কেউ বিনা অপরাধে মাদকের তালিকায় জায়গা না পায়। একই সঙ্গে অপরাধী কেউ যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেটাও লক্ষ্য রাখা উচিত। অভিযানের পাশাপাশি মাদকবিরোধী প্রচারও চালাতে হবে। যুবসমাজ ও তাদের অভিভাবকদের মাদকের কুফল সম্পর্কে আরও সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, এখনও মাদকবিরোধী অভিযানে রাঘববোয়ালদের গ্রেফতার করা যায়নি। যারা ধরা পড়ছে, তাদের অধিকাংশই মাদক বহনকারী বা মাদকসেবক। আর অভিযানে অনেকে মারা যাচ্ছে। এতে মাদক-সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলামত আমরা হারাচ্ছি। বিচারের বাইরে কোনো নিরপরাধ লোক মারা গেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা প্রশ্নের মুখোমুখি হবো।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ একমাত্র সমাধান নয়। মাদকের সঙ্গে কারা কী পর্যায়ে জড়িত সে ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যারা এরই মধ্যে মাদকসেবী হয়েছেন তাদের চিকিৎসাসহ পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, ১০ দিনের ঘোষণা দিয়ে পহেলা রজমান থেকে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানের প্রথম ধাপ ২৭ মে শেষ হয়েছে। এরপর থেকে আবারও বিশেষ অভিযান শুরু করেছে তারা।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় নয়। জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয় এ ব্যাপারে। আর অভিযানে নামলেই অধিক সংখ্যক গ্রেফতার করতে হবে, এটা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। মাদক সংশ্নিষ্টদের মধ্যে ভীতি তৈরি করারও একটি লক্ষ্য রয়েছে।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুকাদ্দেস আলী (৪২) ও ফজলুর রহমান ওরফে টাইটেল (৪৮) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। সোমবার রাত ৩টার দিকে উপজেলা বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শেহালা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মুকাদ্দেস আলী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে ও ফজলুর রহমান ওরফে টাইটেল প্রাগপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।

যশোর অফিস জানায়, মাদক কারবারিদের মধ্যে কথিত গোলাগুলিতে দু’জন মারা গেছে। তারা হলো- শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার সেকেন্দার খাঁর ছেলে মানিক (২৭) এবং শহরতলির মণ্ডলগাঁতি গ্রামের জাহান আলীর ছেলে আসর আলী (৫৬)।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালাউদ্দিন শিকদার জানান, রাত ৩টার দিকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। মানিকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ১০টি ও আসর আলীর বিরুদ্ধে ১১টি মাদক মামলা রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুমিল্লায় লিটন ওরফে কানা লিটন (৪৩) এবং বাতেন (৩৪) নামে দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জর এলাকায় গোমতী প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশে ভাই ভাই ব্রিকস ফিল্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মুরাদনগরের পৈয়াপাথর এলাকার আবদুস ছামাদের ছেলে লিটনের বিরুদ্ধে সাতটি মাদক মামলা এবং বাখরনগর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে বাতেনের বিরুদ্ধে আটটি মাদক মামলা রয়েছে।

ময়মনসিংহ ব্যুরো ও ভালুকা প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁওয়ে সোমবার রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাতি মামলার আসামি মিজান নিহত হয়েছে। সে ভালুকা উপজেলার দক্ষিণ কাচিনা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

ডিবির ওসি আশিকুর রহমান জানান, ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের চটনপাড়া সামাদ ফকিরের বাড়ির পাশে মাদক ভাগাভাগির সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষায় জন্য গুলি চালিয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মিজানের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, ডাকাতিসহ নয়টি মামলা রয়েছে।

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আনিছুর রহমান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট-খোরদোগামী চিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত সুরত আলীর ছেলে।

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হারুন (৪৪) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে হরিপুর উপজেলার আটঘরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন হরিপুর উপজেলার শীতলপুর গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আটঘরিয়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষে গোলাগুলির সময় হারুন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি জানান, দেশজুড়ে র‌্যাব-পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে বেতাগীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ফিরোজ মৃধা নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কুমড়াখালী এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, আখাউড়ায় নিজেদের মধ্যে ডাকাতির মালপত্র ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধে জের ধরে গোলাগুলিতে জনি মিয়া (২৮) নামে একজন নিহত হয়েছে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে আখাউড়া-আনোয়ারপুর সড়ক খালাজোড়া নামকস্থানের একটি কাঠবাগানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জনি আখাউড়া রেলওয়ে কলোনির পূর্ব পাশের বাগানবাড়ি এলাকার ফিরোজ মিয়ার ছেলে। ডাকাতি, মাদক, চোরাচালানিসহ আখাউড়া ও রেলওয়ে থানায় আটটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সূত্র : দৈনিক সমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!