নিউজ ডেক্স : স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনের মৃত্যুর কারণ জানতে পরীক্ষা করার জন্য তার ভিসেরা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) তাসফিয়ার ভিসেরা ঢাকার মহাখালী ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম নগর পুলিশ সহকারী কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) মো. জাহেদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তাসফিয়া আমিনের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তাসফিয়ার ভিসেরা ঢাকার মহাখালী ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পারবো।
তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি আছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকাশ করার মতো উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি নেই। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ সময় ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ব্যস্ত আছি। আমি একটা ফুটেজ নিচ্ছি। এখন কথা বলতে পারবো না।
এর আগে, বুধবার (২ মে) সকালে নগরীর পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ব্রিজঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে মরদেহটি তাসফিয়া আমিনের। তাসফিয়া নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি টেকনাফের ডেইল পাড়া এলাকায়। তাসফিয়া পরিবারের সঙ্গে নগরীর ওআর নিজাম আবাসিক এলাকার তিন নম্বর সড়কের কে আর এস ভবনে থাকতেন। এর আগে ঘটনার আগের দিন মঙ্গলবার (১ মে) সন্ধ্যায় তাসফিয়া তার ছেলে বন্ধু আদনানের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
এ ঘটনায় পুলিশ বুধবার রাতে তাসফিয়ার ছেলে বন্ধু আদনানকে আটক করে। পরে বৃহস্পতিবার (৩ মে) দুপুরে এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় আদনানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে পতেঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন, সোহেল (১৭), শওকত মিরাজ (১৭), আসিফ মিজান (১৭), ইমতিয়াজ ইকরাম (১৭), সুলতান (২৪) ও ফিরোজ (৩০)। গত ছয় দিনে পুলিশ অপর ৫ আসামির একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ মে) আদনানকে আদালতে হাজির করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। গতকাল রবিবার (৬ মে) শুনানি শেষে আদালত রিমাণ্ডের অনুমতি না দিয়ে আদনানকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়নের কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে। আদনানের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় বিচারক তাকে রিমাণ্ডে নেওয়ার অনুমতি দেননি।