নিউজ ডেক্স : সিটি করপোরেশনের (চসিক) জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। এ সময় তাদের কাছে জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত ২টি সিপিইউ, ২টি মনিটর, ২টি প্রিন্টার এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতাররা হলেন, মনি দেবী ও মো. রাকিব হোসেন হিমেল।

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আটকরা চক্রের অন্যান্য সদস্যের সহায়তায় ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। এ পর্যন্ত তারা একাধিক ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ সৃজন ও বিতরণ করেছেন। সরকার নির্ধারিত ওয়েব সাইটে ব্যক্তির ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে প্রাথমিক নিবন্ধন করে। নিবন্ধন করে তথ্য তাদের চক্রের সদস্যকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রদান করে। জাল জন্ম সনদ প্রস্তুত করে চক্রের সদস্য অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সার্ভারে প্রবেশ করে পুনঃরায় চক্রের সদস্যদের কাছে প্রেরণ করে। তাদের মতো এমন আরও একাধিক চক্র দেশে এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত। টাকার বিনিময়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে থাকে চক্রটি।
তিনি আরও বলেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে এক মহিলা এসে জানতে পারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারে পূর্বে অবৈধভাবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির আপলোডকৃত ৪০৯টি সনদের একটি তার। কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগে বুধবার বিকেলে অভিযোগ করলে নগরের ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনি দেবীকে গ্রেফতার করা হয়। মনি দেবী জিজ্ঞাসাবাদে জানায় প্রথম জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকার পরও নামের টাইটেল পরিবর্তন ও বয়স কমিয়ে সঠিক তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জন্ম সনদ সংগ্রহ করে। মনি দেবীর দেওয়া তথ্যেও ভিত্তিতে নগরের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে কম্পিউটার দোকানদার মো. রাকিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে চসিক ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জন্ম নিবন্ধন সহকারী মো. রহিম উল্ল্যাহ চৌধুরী বাদী হয়ে নগরের হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মো. রাকিব হোসেনের বিরুদ্ধে আগেও ভুয়া জন্ম সনদ জালিয়াতির মামলা রয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে। -বাংলানিউজ