“বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ” (বিএনপিএস) চন্দনাইশ উপজেলা ষ্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভা গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার রওশনহাটস্থ একটি রেস্টুরেন্টে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সটেক্টর আকতার সানজিদা জাফর পপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ফেরদৌস আহম্মদ ও চন্দনাইশ স্টিয়ারিং কমিটির সমন্বয়কারী এসএম এরশাদুল করিমের পরিচালনায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভায় অংশগ্রহনকারীদের বক্তব্য শুনেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনামুলক মতামত প্রদান করেন বিএনপিএস এর পরিচালক শাহনাজ সুমি, উপ-পরিচালক নাসরিন বেগম ও জিএনডাব্লিউপি এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি পাহিমা আহমেদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ওডেব এর এরিয়া অফিসার মাহামুদুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর, পল্লী প্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. নুরুল হক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি জাফর আহমদ, মেম্বার আয়েশা আকতার আজাদী, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য ছৈয়দ শিবলী ছাদেক কপিল, চন্দনাইশ পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হাসনারা বেগম, সুরিতা জাগ্রত মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান সঞ্চিতা বড়ুয়া, কাউন্সিলর কোহিনুর আকতার প্রমুখ।
সভায় থানায় নারী হেল্প ডেক্স কর্মকতা হিসাবে নারী এসআই নিয়োগ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এবং উপজেলায় বাল্য বিয়ে ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয়করণ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বরাবর আগামী ১১ নভেম্বর স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
জানা যায়, “গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ উইমেন পিসবিল্ডার্স” এর সহায়তায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “টেকসই শান্তিতে অবদান রাখতে বাংলাদেশী নারীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সেপ্টেম্বর মাসের স্থানীয়করণ কর্মশালায় চন্দনাইশ উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা, নারী নেত্রী, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, স্থানীয় সরকার ও যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩২৫ রেজুলেশন এর ভিত্তিতে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে উপজেলা ষ্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় স্থানীয়করণ কর্মশালার বিষয়বস্তু পর্যালোচনা, গত সভায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী অর্জন, পরবর্তী করনীয় সহ জেন্ডার সমতা, উপজেলা পর্যায়ে নারী ও মেয়েদের উপর সংঘাত ও সহিংসতার প্রভাব এবং শান্তি বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে নারীর সমস্যা, নিরাপত্তাহীনতা ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরনের মাধ্যমে সমাধানের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
পাশাপাশি নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনার মূল বিষয় অংশগ্রহণ, প্রতিরোধ. সুরক্ষা ও পূর্নবাসন বিষয় সমূহ যথাযথভাবে নিশ্চিতের জন্য এডভোকেসী কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিএনপিএস মুখ্য ভুমিকা পালন করছে । প্রেস বিজ্ঞপ্তি