নিউজ ডেক্স : চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় বদরখালীতে দিনদুপুরে বাড়িতে ঢুকে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে রোববার চকরিয়া থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলাটি রুজুর আগে থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে ধর্ষিতা ওই ছাত্রীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে রোববার দুপুরে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) প্রেরণ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।
থানা পুলিশ জানায়, শনিবার (৬ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার উপকুলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে কৌশলে ঢুকে গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ আনছার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। আক্রান্ত ওই ছাত্রী বদরখালী আল আজাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার মূলহোতার নাম মোহাম্মদ আনছার (১৯) একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মগনামা পাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে।
মামলার এজাহার নামীয় অপর আসামীরা হলেন– একই এলাকার সৈয়দ মিয়ার ছেলে আহাম্মদ কবির (৩৫), মৃত আবদুল হকের ছেলে মো. জহির উদ্দিন (৩০), মৃত মো. রশিদের ছেলে মো. রিদুয়ান (৩০) ও আবদুল মোনাফের ছেলে মো. হাসেম (২৮)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (ইনচার্জ) এসআই অরুণ বিকাশ চাকমা জানান, ঘটনাটি ভিকটিমের পরিবার থানার ওসিকে জানানোর পরপর অভিযান চালিয়ে মূল হোতা আনছারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার দিন পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে সহযোগি আসামিদের যোগসাজসে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। মামলাটি রুজু করার পর ভিকটিম ওই ছাত্রীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আনছারই তাকে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওইসময় অন্য আসামীরা বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করে পাহারা দেয়। -সিবিএন