Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ঘুমধুমে যাচ্ছে না রেল, অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করতে হবে প্রকল্পের কাজ

ঘুমধুমে যাচ্ছে না রেল, অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করতে হবে প্রকল্পের কাজ

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনটি ট্রান্সএশিয়ান রেল রুটের আওতায় মিয়ানমারের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনে দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কথা ছিল। দুই প্যাকেজে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা ছিল। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের জন্য মিয়ানমারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। তবে মিয়ানমার তাতে এখনো অনুমতি দেয়নি বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ট্রান্সএশিয়ান রেল রুটে যুক্ত হতে মিয়ানমারেরও ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কথা ছিল। তবে এখনো পর্যন্ত মিয়ানমার এ ধরনের কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে। ফলে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে না। আদৌ তা হবে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এতে অসমাপ্ত অবস্থাতেই শেষ করতে হবে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ২০১৭ সালে চুক্তি সইয়ের সময় তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২০ সালে দুই প্যাকেজের কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে নানা কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন বিলম্ব হওয়ায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি হস্তান্তরে বিলম্ব, ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিলম্ব ও জমির বাস্তব দখল প্রাপ্তিতে বাধা, বনভূমি ডি-রিজার্ভকরণ ও বনভূমি ব্যবহারের অনুমতি পেতে বিলম্ব, প্রকল্প এলাকা থেকে বৈদ্যুতিক পোল (খুঁটি) স্থানান্তরে বিলম্ব এবং করোনার প্রভাবের কারণে বর্ধিত সময়েও প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে না। এই কারণে প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব এরই মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে ঢাকায় রেলভবনে পাঠানো হয়েছে। রেল ভবন থেকে এই প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। এতে প্রকল্পটি বিলম্বিত হওয়ার জন্য পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান জানান, জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, ক্ষতিপূরণে বিলম্ব ও প্রকল্প এলাকায় থাকা বৈদ্যুতিক টাওয়ার/পোল অপসারণে বিলম্ব হওয়ায় ঠিকাদারকে জমি বুঝিয়ে দিতে দেরি হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা মহামারির প্রভাব। এসব কারণে প্রকল্পটির মেয়াদকাল দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা আশা করছি বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

প্রকল্পটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বাকি ৪ হাজার ৯১৯ কোটি সাত লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও প্রকল্প ব্যয় কিন্তু বাড়ছে না। -আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!