নিউজ ডেক্স : তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার কয়েকঘণ্টা আগে স্ত্রী তানজিলার সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল বলে জানাচ্ছে পুলিশ। আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান বলেছেন, আত্মহত্যার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে ওই দম্পতির মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিতু কিছু কিছু বিষয় আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আবার কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন।
চিকিৎসক আকাশ আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক’ ও ‘প্রতারণার’ অভিযোগ করে যান। এর ‘প্রমাণ’ হিসেবে মিতুর সঙ্গে ‘প্রেমিক’দের বেশ কিছু ছবি ও মেসেজের স্ক্রিনশট ফেসবুকে আপলোড করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে নন্দনকানন এলাকায় এক আত্মীয়র বাসা থেকে মিতুকে আটক করে পুলিশ।
ফেসবুকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘বিয়ে বহির্ভূত’ সম্পর্কের যেসব অভিযোগ করে গেছেন, তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আকাশ তার পোস্টে মিতুর যেসব বন্ধুদের নাম বলে গেছেন, তাদের বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করবে বলে জানান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর। ৩২ বছর বয়সী আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে বিষ প্রয়োগ করে তিনি আত্মহত্যা করেন।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বছর তিনেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন আকাশ ও মিতু। বিয়ের পরপরই মিতু অমেরিকা চলে যান। তখন থেকেই বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ১৩ জানুয়ারি মিতু দেশের আসার পর তা আরও বেড়ে যায়। বুধবার রাতে এ নিয়ে তাদের হাতাহাতিও হয়।
সেদিন রাতেই মিতুর বাবা এসে আকাশদের বাসা থেকে মেয়েকে নিয়ে যান। ভোরের দিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন আকাশ।
পুলিশ কর্মকর্তা মিজান বলেন, এ নিয়ে কোনো পরিবারই এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। যেহেতু আকাশ কিছু পোস্ট দিয়েছেন, আর তার পরিবারের কাছ থেকে আমরা যেসব তথ্য পেয়েছি, সেগুলো যাচাই করার জন্য আমরা মিতুকে আটক করেছি।