কিছু কথা না-বলাই থাক
কিছু কথা না-বলাই থাক
বুঝে নেই চলো ইশারাতে
কিছু দুঃখ লুকোনোই থাক
খুঁজে নেই চলো অমা-রাতে
কিছু সন্ধি অবিভাজ্য থাক
যুঝে চলি চলো নিরালাতে
কিছু সুন্দর অদেখাই থাক
নিজে চলি চলো তৃষা-সাথে
কিছু আনন্দ না-পাওয়াই থাক
গুজে নেই চলো বেদনাতে
কিছু প্রিয়মুখ দূরত্বেই থাক
পুজে নেই চলো আঁখিপাতে।।
দূরত্বটা ভালো
থাকুক না কিছু দূরত্ব
দূরত্ব তবু ভালো
ঘুচিয়ে দিয়ে দিনের আলো
আসুক নাহয় কালো
দূরত্বটা ভালো।
মধুর মাঝে তেতো ঢালো
তিক্ত নাহয় হলো
দূরত্বটা ভালো।
কুড়িয়ে নিয়ে সবুজ পাতা
আগুন নাহয় জ্বালো
আগুন তবু ভালো
থাকুক না কিছু দূরত্ব
দূরত্বটা ভালো।
ভাবনা
যার যার ভাবনা
তার কাছে থাক
স্বপ্ন যে দেখেছে
পূর্ণতা পাক
যার যার স্বপ্ন
তাকে ঘিরে থাক
ব্যর্থতা জঞ্জাল
দূরে সরে যাক।
যার যার পথচলা
তার তার ঝোঁক
পরাজয় মুছে গিয়ে
জয়যোগ হোক
দুঃখ যে পেয়েছে
কেটে যাক শোক
একার যা কষ্ট
সবার তা হোক।
যার যত ভালোকিছু
যেনো না ছাড়ে পিছু
কালো যেনো ভালোটাকে
করেনাকো গ্রাস
তুমি আমি মিলেমিশে
দূর করি ত্রাস
নইলে যে হবেনা
দুষ্ট বিনাশ।
কবির চোখ বিষণ্ণ
কবির চোখ বিষণ্ণ,
ময়ুরাক্ষীর কাকচক্ষু জলের খোঁজে
ধ্যানমগ্ন হতে দেখেছি
ধর্মযাজকের মত!
কবির চোখ বিষণ্ণ,
মধু লোভী পতঙ্গের উড়ে চলার ঝোঁকে
ভেঙে যেতে দেখেছি
রেশমি চুড়ির মত।
কবির চোখ বিষণ্ণ,
শীতবিকেলে শিশির- দিঘীর সঙ্গমে
ঝিকিমিকি জ্বলতে দেখেছি
নিকটবর্তী তারার মত।
কবির চোখ বিষণ্ণ,
অঝোর বর্ষায় ভিজে যাওয়া রাত্রিতে
কাতর হতে দেখেছি
পেখমতোলা ময়ূরের মত।
কবির চোখ বিষণ্ণ,
পরীর মত উড়ে যাওয়া মেঘ দেখে
প্রগলভ হতে দেখেছি
ঢেউভাঙা হাসির মত।
তবুও কবির চোখ বিষণ্ণ
তবুও কবির মন বিষণ্ণ
কবিরা তবু বিষণ্ণ থেকে যায়।।