এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর পদুয়া মুন্সী দিঘী এলাকায় ফিরোজ কামালের কলোনীতে ১০ মে রাত সাড়ে ৭টায় এক যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে চকরিয়া সোনা পাড়া এলাকার জনৈক মোঃ সোহেলের স্ত্রী বেবী আক্তার (২৬) বলে জানা যায়। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সঠিক কারণ জানা যায়নি। সোহেল পেশায় একজন বৈদ্যুতিক টেকনেশিয়ান বলে প্রকাশ। ঘটনার পর পরই সোহেল গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, তারা দু’মাস আগে ফিরোজ কামালের কলোনীতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বাস করছিল। ফিরোজ কামাল পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও ঠাকুরদিঘী এলাকায় একটি মার্কেটের মালিক বলে এলাকাবাসীরা জানান। মুন্সি দিঘী এলাকায় তার একটি কলোনী রয়েছে। এ কলোনীতে বিভিন্ন পেশার কয়েকজন ভাড়াটিয়া রয়েছেন।
খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানার এসআই প্রভাত কর্মকার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করছেন। সংবাদ পেয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাছানুজ্জামান মোল্লাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ ব্যাপারে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই জানাতে তারা অনীহা প্রকাশ করেছেন পুলিশ।
ফিরোজ কামাল জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তার কাছে খবর আসে বেবী আক্তার আত্মহত্যা করেছে। খবর পাওয়ার পর পরই তিনি ঠাকুরদিঘী থেকে বাড়িতে চলে আসেন এবং বেবী আক্তারের দরজার ভিতর থেকে বন্ধ ছিল বলে তা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেন। তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং পুলিশকে খবর দেন।
বেবী আক্তারের মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে ধুমড়োজাল সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।