নিউজ ডেক্স : হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় ২১ জনকে অভিযুক্ত এবং তাদের মধ্যে নিহত ১৩ জনকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি আট জনকে আসামি করে চার্জশিট জমা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া রাজীব গান্ধী, বড় মিজান, রফিকুল ইসলাম রিগ্যান, সোহেল মাহফুজ, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ ও হাদিসুর রহমান সাগর এবং পলাতক শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনের নাম চার্জশিটে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত ১৩ জন ইতিমধ্যে মারা যাওয়ায় চার্জশিট থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তদন্তে দেখা গেছে, আসামিরা পাঁচ মাস আগে থেকেই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করা, বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানানো, সরকারকে চাপের মুখে ফেলা।
তিনি আরো জানান, হামলার পরদিন সকালে হলি আর্টিজান বেকারি থেকে গ্রেপ্তার নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের নাম এই অভিযোগপত্রে আসেনি। অভিযানে নিহত হলি আর্টিজানের পাচক সাইফুল ইসলামকে শুরুতে সন্দেহের তালিকায় রাখা হলেও তার সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ তদন্তকারীরা পাননি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে নয়টার দিকে ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী রেস্তোরাঁয় অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জন লোককে জিম্মি করে রাখে। পরদিন শনিবার সকালে রেস্তোরাঁয় জিম্মিদের উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। বিদেশি নাগরিকসহ মোট ১৩ জনকে জীবিত এবং মোট ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।