নিউজ ডেক্স : করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও স্বরূপে ফিরছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। দীর্ঘদিনের নির্জনতা কাটিয়ে সৈকত আবার পর্যটকে মুখর। বিশেষ করে গত ১৭ আগস্ট থেকে সৈকত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আসা শুরু করেছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সৈকতে ভ্রমণে আসা বেশিরভাগ পর্যটক স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
গতকাল শুক্রবার সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে সমুদ্র স্নান, বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, সুর্যাস্ত অবলোকনসহ আনন্দে মেতে ওঠেছেন অনেক পর্যটক। যে যার মত আনন্দমুখর সময় পার করছেন তারা।
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা আরেফা ইসলাম বলেন, ঘরে থাকতে থাকতে আর ভালো লাগছিল না। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে দীর্ঘদিনের ক্লান্তি দূর হলো। আমরা কর্মজীবী মানুষ। অনেক দিন ঘরবন্দী ছিলাম। তাই একটু বেড়াতে আসা। তবে সামাজিক দূরত্ব মেনেই আমরা ভ্রমণ করছি। এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন চট্টগ্রাম থেকে আসা মহিউদ্দিন। মায়ের সঙ্গে সৈকত ভ্রমণে আসা শিশু তামহিয়া বলে, কক্সবাজার অনেক সুন্দর। সমুদ্র আরও বেশি সুন্দর। আমি সমুদ্রে গোসল করেছি, অনেক মজা পেয়েছি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূলত ঈদের পর থেকে কক্সবাজারে কিছু কিছু পর্যটক আসা শুরু করেছেন। তারা সৈকতেও নামছেন। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বার বার সচেতন করা হচ্ছে। সৈকতে মাইকিং করা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, সীমিত পরিসরে পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত থাকবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। স্বাস্থবিধি কঠোরভাবে মেনে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তা খুলতে হবে। তিনি বলেন, সৈকত ভ্রমণে পর্যটকদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমণ করতে হবে। দৈনিক আজাদী