নিউজ ডেক্স : এক বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলন অভি ধর (২৭) ও যুথিকা সুত্রধর (২৩)। স্বজনদের অমতে বিয়ে করায় মেনে নেয়নি দুই পরিবার।এরপর নিজেরাই শুরু করেন সংসার। কিন্তু বছর না ঘুরতেই তাদের সুখের ঘরে লাগে আগুন। সর্বশেষ দুই মাস আগে হয় বিচ্ছেদ। তবুও স্ত্রী যুথিকাকে ফিরিয়ে নিতে যত চেষ্টা স্বামী অভি ধরের। শেষ পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে যেতে রাজি না হওয়ায়, স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে, নিজেও করলেন আত্মহত্যার চেষ্টা।
ঘটনাটি গত ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড পৌরসভার প্রেমতলা এলাকার। স্বামীর এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু হলেও গত ৭ দিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন স্বামী অভি। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে তিনিও মারা যান।
জানা গেছে, বিচ্ছেদের পর গত ২৭ অক্টোবর সীতাকুণ্ডে যুথিকার বাবার বাড়িতে দেখা করতে যায় অভি। এসময় যুথিকাকে নিয়ে আসতে চাইলে তিনি আসতে রাজি হননি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে যুথিকাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে কুপিয়ে জখম করে এবং অভি নিজের পেটে নিজেই ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদের দুজনকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় যুথিকার। পরে অভিকে ভর্তি করা হয় চমেক হাসপাতালে।
অভির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হোসেন বলেন, গতকাল রাতে অভি মারা যান। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্ত্রী যুথিকাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় স্বামী অভির বিরুদ্ধে যুথিকার বাবা ডা. রামচন্দ্র বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু গতরাতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিও মারা গেছেন। বাংলানিউজ