নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সাংবাদিক আবু আজাদের ওপর হামলার ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রামের দেওয়ানজি পুকুর পাড়ের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গত রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার ছবি তোলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন তালুকদার মোহনসহ ৫-৬ জন পিস্তল ঠেকিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে মারধর করে। অস্ত্রের মুখে মোহন ওই সাংবাদিককে গাড়িতে তুলে স্থানীয় মঘাছড়ি বাজারে নিয়েও কয়েক দফা পেটান। এরপর তার কার্যালয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে। তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে এবং মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড- সব কেড়ে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে মোহনের মোবাইল ফোন দিয়ে আবু আজাদের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে কথাও বলে।
এরপর ওই সাংবাদিকের পকেটে মোহন নিজের ভিজিটিং কার্ড ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতা থাকলে কিছু করতে বলে হুমকিও দেয়।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় হতায় চেষ্টা, অপহরণ, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া, মারধর এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু আজাদ।
মামলায় ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন (৪০), চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী (৫৫), ইটভাটার ম্যানেজার কামরান (৩০), মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুড়ির (৩০) নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে অভিযুক্ত করা হয়। ওইদিন রাতেই আসামি কাঞ্চন তুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মতবিনিময় সভায় রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সেগুলো চলমান আছে। অনেককে জরিমানা করা হয়েছে। অনেকগুলো ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর ড. হাছান মাহমুদের প্রথম চট্টগ্রাম সফর এটি। বর্তমান ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
পরীমনি তার স্ট্যাটাসে স্বামী শরীফুল রাজের সঙ্গে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের ঘনিষ্ঠতার দিকে ইঙ্গিত করেন। পরে মিম অভিযোগ অস্বীকার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
সেদিন নিজের ফেসবুকে মিম জানান, প্রমাণ ছাড়া কোনো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তাকে নিয়ে করা হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।
এর পরদিন আবারও স্ট্যাটাস দেন পরীমনি। যেখানে রাজ-মিমের ‘মাখামাখি’ পরীর সংসারের জন্য কাল হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। ফেসবুক পোস্টে পরীমণি বলেন, ‘আসেন তা হলে কিছু বিষয় ক্লিয়ার করি। এই যে মিম বলল— আমি জেলাসি করলাম তোমার সঙ্গে! এটা ১০ জন আননোন লোকে বলতেই পারে; কিন্তু তুমি কি করে এটি বলো? যেখানে পরাণ রিলিজের পর সবখানে আমি বলে আসছি— রাজের সঙ্গে তুমি জুটি হয়ে কাজ করো। তোমাদের জুটি দেখতে ভালো লাগে। এটি তোমরাও চাও।’
তিনি বলেন, ‘তোমার মাও সেদিন আমাদের লিভিংরুমে আমার সঙ্গে এ নিয়ে কত কথা বললেন। এই তো সেদিন ইনফিনিটি সিজন ২-এর জন্য তোমাকে নক দিলাম আমি। কি করে ভুলে গেলি রে ভাই। ৫ দিন আগেও আবু রায়হান জুয়েল ভাইকে বললাম— রাজ আর মিমকে জুটি করে নেক্সট কাজটা করে ফেলেন ভাই।’
মিমকে উদ্দেশ করে পরীমণি বলেন, ‘কিন্তু বিশ্বাস কর ভাই মিম, রাজের সঙ্গে তোর এই অতি মাখামাখিটা আমার সংসার, আমার বাচ্চা, আমার লাইফ— সব কিছুতে ঝামেলা করে দিচ্ছে। এই যে দামালের তিন মাসের হলো রাইটস নিলা রাজ তুমি, তোমরা সবাই— এই হলো কাল এখন আমার জীবনের। এখন তোমাদের ব্যবসায়িক ছুতোয় আলাপ চলে রাত-দিন। বিশ্বাস করো তোমাদের এই মাঝ রাত্তিরের ফোনালাপ আমার সত্যিই প্রবলেম করে। আমি একা সারারাত বাচ্চাটাকে সামলাই। এসব বন্ধ করো।’
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। এরপর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরের সঙ্গে বিয়ের কথাও প্রকাশ্যে আনেন নায়িকা। এরপর ২২ জানুয়ারি জমকালো আয়োজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজ-পরী। গত ১০ আগস্ট পুত্রসন্তানের জন্ম দেন নায়িকা। রাজ-পরীর সন্তানের নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
প্রসঙ্গত, নড়াইলের মেয়ে শামসুন্নাহার স্মৃতি পরীমনি নাম নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েই তারকা বনে গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ মুক্তির আগেই অন্তত ২০টি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তোলেন আলোড়ন। -আজাদী অনলাইন