ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সংসদে মেননের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

সংসদে মেননের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ড. নদভী এমপি

রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

নিউজ ডেক্স : কওমি মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। মেননের বক্তব্যে ধর্মপ্রাণ মানুষ আহত হয়েছেন বলেও সংসদকে জানান তিনি।

এর আগে রোববার মেননের বক্তব্যকে ‘ধৃষ্টতা’ আখ্যায়িত করে তা এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানিয়েছিলেন ঢাকা-৬ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।

রাশেদ খান মেননের বক্তব্যে ধর্মপ্রাণ মানুষ আহত হয়েছে জানিয়ে এ সংসদ সদস্য জানান, ‘এখানে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন সাহেব কওমি মাদ্রাসা নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। এতে আমরা একটু আহত হয়েছি। উনার (মেনন) সঙ্গে আমার কয়েকবার মিটিং করার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু উনি কয়েকটি কথা বলেছেন যে কথার মাধ্যমে আমরা একটু আহত হয়েছি। যেহেতু আমরাও কওমি সন্তান। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমি ভারতের লক্ষ্মৌ থেকে পিএইচডি করেছি।’

আইন পাস হওয়ার পর সংসদে এমন আলোচনা অনভিপ্রেত জানিয়ে আবু রেজা নদভী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান মর্যাদা দিয়ে এই সংসদে আইন পাস হয়েছে। আইন পাস হওয়ার পর এ ধরনের মন্তব্য আমাদের একটু আহত করেছে। কারণ আমিও কওমি সন্তান।’

কওমি মাদ্রাসার সনদ স্বীকৃতিতে জামায়াত ছাড়া সবাই খুশি হয়েছে জানিয়ে নদভী বলেন, ‘ এ স্বীকৃতিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সবাই খুশি হয়েছেন, পুরো মুসলিম বিশ্ব খুশি হয়েছেন, মুসলিম বিশ্বের আলেমরা খুশি হয়েছেন। শুধু একটা দল খুশি হন নাই, সেটা হলো জামায়াতে ইসলামী। কওমি স্বীকৃতিতে তারা খুশি হতে পারে নাই।’

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া থেকে নির্বাচিত এই এমপি বলেন, ‘এই সংসদে দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দিয়ে আইন পাস হয়েছে। আমরা সব সংসদ সদস্য একমত হয়ে আইন পাস করেছি। তারপরও এটার ওপর কথা বলা কোনো রকম কাম্য নয়।

আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেন না, যত দিন পর্যন্ত উনি ফিজিবিলিটি স্টাডি না করেন। উনি কওমি মাদ্রাসার আইনটা ৯ বছর ধরে স্টাডি করেছেন। ৯ বছর স্টাডি করার পরে দেওবন্দের উসুলে হাস্তেগানা তথা ৮ নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে এ আইন পাস করেছেন।

তারপর এটা নিয়ে কথা বলা কাম্য নয়। কেন পাস করেছেন? ইনসাফ কায়েম করার জন্য, আদব কায়েম করার জন্য। ২০ হাজার কওমি মাদ্রাসায় ২০ লাখ কওমি শিক্ষার্থী। তাদের প্রতি ইনসাফ করেছেন।’

সূত্র : দৈনিক যুগান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!