নিউজ ডেক্স : টেকনাফের আলোচিত ইয়াবা শামসুকে ফাঁদে ফেলে পুলিশে দিয়ে প্রায় কোটি টাকার ইয়াবা ও নগদ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তারই সহযোগী লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের সর্দারনিপাড়ার আবুল হাসেমের স্ত্রী ফরিদা বেগম।
জানা গেছে, ইয়াবা শামসু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে সিকদারপাড়ায় পরিবারসহ দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। মিয়ানমার-টেকনাফ-কক্সবাজার-লোহাগাড়া হয়ে সারা দেশে ইয়াবা পাচার করে সে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে যায়। এরই মধ্যে হাতেনাতে ধরা পড়ে জেলেও যায়। কিছুদিন আগে জামিনে বের হয়ে লোহাগাড়া আমিরাবাদ পুরান থানাস্থ এক বিল্ডিংয়ে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। ওই বিল্ডিংয়ে আগে থেকেই ভাড়া বাসায় থাকা ফরিদা বেগম ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া দক্ষিণ গারাঙ্গিয়া সিকদারপাড়ার মাহমুদুর রহমানের ছেলে নুরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় শামসুর। সেই সুবাদে ফরিদা ও নুরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাপকভাবে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে শামসু। একপর্যায়ে ব্যবসার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় এবং সমাধানও হয়। কিন্তু ১২ জানুয়ারি ফরিদা ও নুরুল ইসলাম শামসুকে ফাঁদে ফেলার মতলবে ব্যবসায়িক হিসাব করার কথা বলে ফরিদার নিজ বাড়িতে দাওয়াত দেয়। সেখানে শামসুর কাছ থেকে অনুমানিক ৫০ লাখ টাকা ও ১ লাখ পিস ইয়াবা (যার মূল্য কোটি টাকার বেশি) হাতিয়ে নিয়ে ফরিদা ও তার সহযোগী নুরুল ইসলাম পুলিশে ধরিয়ে দেয় শামসুকে। বর্তমানে ফরিদা ও তার সহযোগী নুরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব মিয়া কিছুদিন আগে ফরিদার বাড়ি থেকে একজন আটক হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সূত্র : দৈনিক যুগান্তর