লোহাগাড়ায় আগুনে পুড়েছে ১৫ দোকান ও এক বসতঘর

এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে গেছে ১৫টি দোকান ও একটি বসতঘর। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরে ইউনিয়নের মনু ফকির হাট ও কুমিরাঘোনা হামিদুল্লাহ মুন্সির পাড়া এলাকায় পৃথক এই ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন দোকানদার যথাক্রমে মোমাহাম্মদ মিজান, পরিমাল শীল, মো. আমিন, কর্মকার, মো. জসিম, আবদুর রহিম, শাহ আলম, মফিজুর রহমান, মো. আমিন, খোকন বড়ুয়া, নাজিম উদ্দিন, আবদুল হাফেজ, আমিন শরিফ, মো. ইউসুফ, সিএনজি অটোরিক্সার অফিস ও বসতঘরের মালিক আবদুল হাফেজ।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আবদুল হাফেজের চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহুর্তের মধ্যে আগুন টিনের ছাউনি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন। ততক্ষণে আগুনে দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি। অপরদিকে, আবদুল হাফেজের বসতঘরেও বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়ুয়া জানান, আগুনে দোকান ও বসতঘর পুড়ে যাবার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহতি করা হয়। এলাকার বিত্তবানদের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

এদিকে, খবর পেয়ে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের মাঝে চাল ও শীতবস্ত্র প্রদান করেন। পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া কয়েকটি সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে।

লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা রুবেল আলম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকল বাহিনীর ২টি ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। অপরদিকে, বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে উভয় স্থানে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।