কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে ডাটা বেইজ তৈরি করতে গিয়ে এনজিও সংস্থা ইউএনএইচসিআর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জোর পূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক লেখায় সোমবার থেকে ৩ দিনের ধর্মঘটের কর্মসূচী ঘোষনা দিয়েছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের দাবী স্মার্ট কার্ডে জোর পূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক লিখতে হবে। উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মোঃ নুর জানান, ইউএনএইচসিআর টেকনাফ-উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করেছে। রোহিঙ্গাদের পূর্বের গননা ভুল হয়েছে দাবী করে উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কি পরিমাণ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে এ জন্য এনজিও সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রত্যেক রোহিঙ্গাদের জন্য স্মার্ট কার্ড তৈরি ডাটা বেইজ এর কাজ শুরু করেছে। ইউএনএইচসিআর কর্তৃক রোহিঙ্গাদের দেয়া স্মার্ট কার্ডে লেখা আছে এই ব্যক্তি যার ছবি প্রথম পৃষ্টায় যুক্ত আছে, তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক/ইউএনএইচসিআর এর সাথে সংশ্লিষ্ট। তাকে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে এবং বলপূর্বক এমন কোনো দেশে পাঠানো যাবে না যেখানে তার জীবন ও স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থানকালে এই কার্ডধারী ব্যীক্ত এই দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। কুতুপালং ৫ নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মোঃ ইউছুপ জানান, সোমবার সকাল থেকে ৫,৬,৭ ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা শত শত দোকান পাট বন্ধ করে ইউএনএইচসিআর এর বিরুদ্ধে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এ ধর্মঘট ৩ দিন চলবে। এনজিওদের নিয়োগকৃত রোহিঙ্গা ভলান্টিয়াররা সোমবার কোন কাজে যায়নি। কুতুপালং ক্যাম্পের ডাঃ জাফর আলম জানান, নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ধর্মঘট শুরু করেছে এনজিও সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর বিরুদ্ধে। যতক্ষণ পর্যন্ত স্মার্ট কার্ডে রোহিঙ্গা শব্দ লেখা হবেনা ততক্ষণ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের আন্দোলন চলবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানায় দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক মিল্টন দে জানান, রোহিঙ্গাদের ধর্মঘটের কথা শুনে কা¤েপ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনিও ধর্মঘটের কথা শুনেছেন বলে জানান। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিও শুনেছি রোহিঙ্গাদের ধর্মঘটের কথা। তবে কেন রোহিঙ্গারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।