নিউজ ডেক্স : মাত্র সতেরো দিন পর পবিত্র রমজান। রমজান এলেই ভোক্তার অস্বস্তি বেড়ে যায় ভোগ্যপণ্যের বাজারে। কিন’ এবার অস্বস্তিতে পড়তে হবে না বলে আশ্বাস দিচ্ছেন ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা। চাহিদার চেয়েও পণ্যের যোগান বেশি থাকায় আগামী তিন মাস ক্রেতারা স্বস্তিতে বাজার করতে পারবেন বলে জানালেন তারা।
গত বছর দেশে ছোলা ৮০ শতাংশ ও মসুর ডালের ৫৩ শতাংশ আমদানি করেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রামে ডালের শীর্ষ আমদানিকারক খাতুনগঞ্জের বিএসএম গ্রুপ চেয়ারম্যান আবুল বশর বলেন, ‘দেশে প্রচুর ছোলা ও ডাল আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া রমজানের চাহিদার অধিকাংশ পণ্য এসে পৌঁছে গেছে। তাই এ বছর সাশ্রয়ী দামেই সব পণ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’
একই সুরে বাজারে ক্রেতাদের স্বস্তিতে থাকার কথা জানালেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মীর মোহাম্মদ হাসান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে রমজানের ভোগ্যপণ্যগুলো ইতোমধ্যে চলে এসেছে। বাজারে কোনোভাবে স্টক ক্রাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে চিনির দাম নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে। আমাদের লোকাল ফ্যাক্টরিগুলো তাদের রেডি মালের দাম বাড়ানো জন্য তাদের ডেলিভারি স্লো করে দিয়েছে। তবে বাজারে পণ্যের যোগান বেশি থাকায় তারা হয়তো কোনো সুবিধা করতে পারবে না।’
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (বিটিসি) ক্রেতাদের দুশ্চিন্তা কমানোর মতোই তথ্য প্রকাশ করেছে। তথ্যে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজার দর ও দেশের বাজার দরের পরিসি’তি সন্তোষজনক। শেষ এক মাসে ছোলার দাম কমেছে ২ শতাংশ। বিশ্ববাজারে প্রতি কেজি ছোলার বর্তমান দাম ৫১ টাকা। যা দেশের বাজারে মান ভেদে ৫৫ থেকে ৭০ টাকা, ৫০ থেকে ৮৫ টাকায় মসুর ডাল ও ৭৫ থেকে ৯৫ টাকায় বেসন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১ লাখ ৬৯ হাজার টন ভোজ্য তেল, ১৩ লাখ ৭ হাজার টন চিনি, ১ লাখ ৩০ হাজার টন মসুর ডাল, ৪ লাখ ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ ও ২ লাখ ৪৭ হাজার টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। এছাড়াও টিসিবি তাদের নিজস্ব আউটলেটসহ ১৬ থেকে ১৭টি ট্রাকে পণ্য বিক্রয় করবে বলে জানা যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এবার রমজানে পণ্যের দাম সন্তোষজনক অবস’ায় থাকবে। কারণ আমাদের হিসেব অনুযায়ী ভোগ্য পণ্য চাহিদার ২ থেকে ৩ গুণ বেশি আছে। এছাড়া
আমরা সরকারি নির্দেশানুযায়ী প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করতে বের হবো। আগামী ৩ মার্চ ডিসি অফিসে ব্যাবসায়ীদের সাথে বসে আমরা সকল পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবো। ফলে পণ্য কিনতে এসে কাউকে দুর্ভোগে পড়তে হবে না বলে আশা করছি।’