ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ভালো কথা বললেও তেড়ে আসে রোহিঙ্গারা

ভালো কথা বললেও তেড়ে আসে রোহিঙ্গারা

coxbazar-20190825184457

নিউজ ডেক্স : রোহিঙ্গা আগমনের দুই বছর পূর্ণ হলো আজ। মিয়ানমারের আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেদেশের সেনারা হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে জীবন বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আশ্রয় নিয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। আজকের দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে রোহিঙ্গারা। এবারো দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে রোহিঙ্গারা।

এরই অংশ হিসেবে রোববার পাঁচ দফা দাবিতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প এক্স-৪-এ সমাবেশ করেছে তারা। সমাবেশে নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন রোহিঙ্গা নেতারা। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু কোনারপাড়া নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসরত কোনো রোহিঙ্গা সমাবেশে যোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তুমব্রু কোনারপাড়া এলাকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। তাদের কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। তবে তাদের দেশে ফেরা নির্ভর করছে মিয়ানমার সরকারের ওপর।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাহ, মাস্টার আবদুর রহিম, মৌলভী ছৈয়দ উল্লাহ ও রোহিঙ্গা নারী নেত্রী হামিদা বেগম।

রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ বলেন, নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা এবং বসতভিটা ফেরতসহ রোহিঙ্গাদের পাঁচ প্রধান দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় মিয়ানমারে ফেরত যাবে না রোহিঙ্গারা।

জানা যায়, নো-ম্যান্স ল্যান্ডে থাকা সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৯১০ রোহিঙ্গা আছে। বাকিরা পালিয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। যারা আছে তারা মাদক পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের বাসিন্দা আবদুল হামিদ জানান, তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তারা অনেকেই মিয়ানমার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। এছাড়া চোরাকারবারি, মারামারিসহ নানা অপরাধে লিপ্ত তারা।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। তারা এতটাই উগ্র যে, কেউ তাদের সঙ্গে ভালো করে কথাও বলতে পারে না। ভালো কথা বললেও তেড়ে আসে তারা। তাদের এখান থেকে সরিয়ে নেয়া উচিত।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, প্রশাসন সবসময় তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সব কর্মকাণ্ড নজরে রাখার পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।

সূত্র : জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!