এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের আখতরাবাদ (কুমিরাঘোনা) এলাকায় একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ১০ শ্রমিককে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত ৪ এপ্রিল রাতে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে থানার এসআই জাকির সিকদার অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের লোকজন স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত শ্রমিকদেরকে নজরবন্ধী রেখে জোরপূর্বক কাজ করা ও মারধরের অভিযোগ করেছেন ভাটা মালিক। আজ ৫ এপ্রিল তাদেরকে স্ব স্ব ঠিকানা পাটিয়ে দেয়া হয়েছে বলে উদ্ধারকারী এসআই জাকির সিকদার সূত্রে প্রকাশ।
উদ্ধারকৃত শ্রমিকরা হলেন আবদুস ছালাম (৬৫), হেলাল উদ্দিন (৪০), আহমদ কবির (৪২), আশেক (১৫), আরিফুল ইসলাম (২২), জাকির হোসেন (৬০), জালাল উদ্দিন (৩০), কালা মিয়া (২২), জয়নাল আবেদীন (৪০), বদন আলী (৩০) প্রমুখ। তারা সকলে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা।
জানা যায়, এসব শ্রমিক জনৈক শফি মাঝির তত্বাবধানে বড়হাতিয়ায় নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন একেবি ইটভাটায় কাজ করতে আসেন। এ ব্যাপারে শফি মাঝি মালিকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকাও গ্রহণ করেন বলে ভাটা মালিক জানিয়েছেন। তবে কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে শফি মাঝি গা ঢাকা দেয়। এতে শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারা চলে যেতে উদ্যত হয়। শ্রমিকরা তাদের করুণ দশার কথা পরিবারকে জানায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন পুলিশের হেল্প লাইন ‘৯৯৯’- এ ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেন। সে মতে লোহাগাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালান।
স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, ভাটাটি আখতরাবাদ (কুমিরাঘোনা) বায়তুশ শরফ সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। এছাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল চাকফিরানি ঠুটা পুকুর এলাকায় আরো একটি ইটভাটা রয়েছে। ভাটাটিতে ড্রাম চিমনী ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানেও বহু শ্রমিক মানবেতর জীবন-যাপন করার অভিযোগ উঠেছে।
ভাটা মালিক সিরাজুল ইসলামের পুত্র নাছির উদ্দিন ভাটার শ্রমিকদের নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এলাকাবাসী ও পরিবেশ সচেতন মহল লোহাগাড়ার ইটভাটা সমূহে অভিযান পরিচালনা ও নীরহ শ্রমিকদের উদ্ধারের পরামর্শ দিয়েছেন।