ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বিএনপি যত খুশি গালি দিতে পারে : আইনমন্ত্রী

বিএনপি যত খুশি গালি দিতে পারে : আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেক্স : বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইস্যুতে আইনের বাইরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এজন্য বিএনপি তাকে যত ইচ্ছা গালি দিতে পারে, তাতে তার কিছু যায় আসে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিএনপির সংসদ সদস্য জি এম সিরাজের বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলানিউজ  

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন যেখানে আছে, সেখানে তিনি যথেচ্ছ ব্যবহার করতে পারেন না। বিএনপি যে দাবি করছে, তা আইনের বইয়ে নেই। বিএনপি আমাকে যত খুশি গালি দিতে পারে। তাতে আমার কিছু আসে-যায় না। আমি আইন মোতাবেক চলব।

বিএনপির এমপি জি এম সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো না হলে দলীয় সিদ্ধান্তে বিএনপির পক্ষে এই সংসদে থাকা হয়তো সম্ভব হবে না। আমরা ছয়জন এই সংসদে আছি। আওয়ামী লীগের বন্ধুরা বলেন, এটা এই পার্লামেন্টের জন্য অলঙ্কার। আজকে তাই বলতে চাই, আমাদের সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যদি আমরা সত্যি সত্যি অলঙ্কারই হয়ে থাকি, তাহলে পার্লামেন্ট অলঙ্কারবিহীন করবেন না। এই কারণে, আমাদের দলীয় সিদ্ধান্তে এমনও হতে পারে, ম্যাডাম যদি চরম অবস্থা চলে যান, তাহলে হয়তো এই পার্লামেন্টে আমাদের থাকা সম্ভব নাও হতে পারে। আমি এটাকে শর্ত দিচ্ছি না।

জি এম সিরাজের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে ছয় মাস পরে বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি তো দেখিয়েছি যে বাংলাদেশের আইনের বইয়ে এটা নাই। ওনারা যদি এটা দেখাতে পারেন, তাহলে তো আমরা এটা বিবেচনা করতে পারি। কিন্তু এটা আইনের বইয়ে নাই। ওনারও দেখাতে পারবেন না, বিবেচনার প্রশ্ন আসে না।

আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৭-০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়েছে, এটা অসত্য। প্রধানমন্ত্রী কখনো সাজাপ্রাপ্ত হননি। আ স ম আবদুর রবকে যখন পাঠানো হয়েছিল, তখন দেশে ছিল মার্শাল ল। মার্শাল লর ধারা ফৌজদারি কার্যবিধির ধারার সঙ্গে চলে না। ওনারা যথেচ্ছ করেছেন। আজকে আইনের শাসন যেখানে আছে, সেখানে আমি যথেচ্ছ করতে পারি না। এটা হচ্ছে প্রকৃত ঘটনা।

আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ৪০১ ধারায় কোনো সুযোগ নেই একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির নিষ্পত্তিকৃত আবেদন আবার বিবেচনা করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!