এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পুটিবিলায় আজু শাহ ফকির সড়কের সরই খালের ওপর ব্রিজের অভাবে দুই ওয়ার্ডের মানুষের যতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খালের উপর গাছ, বাঁশ ও গাছের তক্তা দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী সাঁকোই তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা।
জানা যায়, গৌড়স্থান মাঝের পাড়া-সড়াইয়া নতুন পাড়া সংযোগ সড়ক ছাড়া সরই খাল পারাপারে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী বর্ষাকালে এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। সরই খালের দক্ষিণ পাশে পুটিবিলা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সড়াইয়া নতুন পাড়া, ফারাঙ্গা, হাছিনাভিটা, লামার লোকজন ও অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী খাল পার হয়ে উত্তর পাশের গৌড়স্থান উচ্চ বিদ্যালয়, গৌড়স্থান আখতারুল উলুম দাখিল মাদরাসা, সোবাহানিয়া মহিলা মাদরাসা ও গৌড়স্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসতে হয়। এছাড়া সরই খালের উত্তর পাশে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গৌড়স্থান মাঝের পাড়া, নোয়াপাড়া, সিকদার পাড়া ও পশ্চিম পাড়ার মানুষের খালের দক্ষিণ পাড়ে কৃষি জমি রয়েছে। ব্রিজ না থাকায় দক্ষিণ পাড়ের উৎপাদিত কৃষি পণ্য আনা নেয়া করতে কৃষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, গৌড়স্থান মাঝের পাড়া-সড়াইয়া নতুন পাড়া সংযোগ সড়কে সরই খালের ওপর স্থানীয়দের অর্থায়নে গাছ, বাঁশ ও গাছের তক্তা দিয়ে নির্মিত সাঁকো দিয়ে কোনমতে সরই খাল পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাঁকোটি বছরে কয়েকবার সংস্কার করতে হয় বলে স্থানীয়রা জানান। বর্ষার সময় খালে পানি বৃদ্ধি পেলে সাঁকোর গাছ, বাঁশ পানিতে ভেসে যায়।
স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ ইসলাম জানান, আজু শাহ ফকির সড়ক গৌড়স্থান মাঝের পাড়া-সড়াইয়া নতুন পাড়া চলাচলের একমাত্র সড়ক। বিকল্প কোন চলাচল পথ না থাকায় কৃষিপণ্য আনা নেয়া করতে অসুবিধা হয়। শুষ্ক মৌসুমে এ পথ দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হলেও বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই স্থানে একটি ব্রিজ হলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
শিক্ষার্থী মোরশেদ আলম জানান, বর্ষায় খালে পানি বৃদ্ধি পেলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তাই এখানে ব্রিজ হলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত সহজ হবে।
পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।