ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দোকান খোলা ৮টা পর্যন্তই, নিয়ন্ত্রিত চলাচলের সীমা বাড়ল

দোকান খোলা ৮টা পর্যন্তই, নিয়ন্ত্রিত চলাচলের সীমা বাড়ল

নিউজ ডেক্স : মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত চলাচলের সীমা বাড়িয়েছে সরকার। এছাড়া রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) ব্যতীত বাসস্থানের বাইরে আসা যাবে না। তবে দোকানপাট আগের মতোই রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।

সোমবার (৩ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে এক অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এ আদেশ জারি করা হয়। আদেশে ১০টি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে এবং সাপ্তাহিক ছুটি এ নিয়ন্ত্রণের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এছাড়া বাসস্থানের বাইরে সব সময় মাস্ক পরতে হবে এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হাটবাজার, দোকান ইত্যাদিতে বাড়তি সতর্কতা থাকতে হবে এবং রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়ােজন ছাড়া (প্রয়ােজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন-সতকার ইত্যাদি) বাসস্থানের বাইরে আসা যাবে না।

বাসস্থানের বাইরে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধান করা, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

হাটবাজার, দােকান-পাট ও শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমলের প্রবেশমুখে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র এবং হাত ধােয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহনগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকান-পাট ও শপিংমল আবশ্যিকভাবে রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। পণ্য/খাদ্য ক্রয়ে জনসাধারণকে ই-কমার্স সাইট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে

সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কতৃর্ক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খােলা থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

গণপরিবহনসহ সবধরনের যান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে চলাচল করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

সব প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকবে। ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান আয়ােজনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালনপূর্বক মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায় ও অন্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা পরিচালনা করা যাবে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি জোনভিত্তিক সংক্রমণ (Containment) ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কৌশল/গাইড অনুসরণ করে অধিকতর সংক্রমিত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেখানে সর্বসাধারণের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সরবরাহপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরে বিষয়ে সুস্পষ্ট অনুমোদন ও নির্দেশনা প্রদান করবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সিটি কর্পোরেশন এবং অনান্য এলাকায় জেলা প্রশাসন এ সংক্রান্ত কার্যাবলির সার্বিক সমন্বয় করবে।

কোভিভ-১৯ এর বিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসন প্রচারণা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!