Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দৃষ্টি এখন ঢাকায়

দৃষ্টি এখন ঢাকায়

নিউজ ডেক্স : টানা তিন দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে যুবলীগের রাজনীতিতে জাগরণ ঘটিয়ে গেলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সাথে আশাও জাগালেন। তিন ইউনিটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৪ জন প্রার্থীর অপেক্ষার প্রহর শুরু হয়েছে। সবার দৃষ্টি এখন ঢাকায়। কেননা কাউন্সিল অধিবেশন হলেও এখানে নেতৃত্ব নির্বাচন হয়নি।

জেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানায় বছরের পর বছর সম্মেলন না হওয়ার বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত গত ২৮ মে থেকে ৩০ মে দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগর যুবলীগের কাঙ্ক্ষিত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামে যুবলীগের রাজনীতিকে উজ্জীবিত করে গেলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। নগর কেন্দ্রিক জেলা রাজনীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভেঙে জেলার সম্মেলন জেলায় (দক্ষিণ জেলার সম্মেলন পটিয়ায়, উত্তরের সম্মেলন হাটহাজারীতে) করে স্থাপন করলেন দৃষ্টান্ত। আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী কোনো সংগঠনে এর নজির নেই। অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে তিন ইউনিটের সম্মেলন শেষ হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতারা বার্তা দিয়ে গেলেন সৎ, ত্যাগী, পরিচ্ছন্ন এবং সংগঠনের সৃজনশীল ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত নেতাদের মধ্য থেকে আগামী দিনের যুবলীগের নেতৃত্ব বাছাই করা হবে।

তিন ইউনিটের সম্মেলনে প্রথম অধিবেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে কাউন্সিলর অধিবেশন করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে যুবলীগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শাসম পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল তিন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। তাদের প্রস্তাবক–সমর্থক কারা জানতে চান। যেসব প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রস্তাবক–সমর্থক ছিল না তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। মহানগর যুবলীগের সভাপতি পদে ২৮ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৫ জন প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে নিজেদের প্রার্থিতা তুলে ধরেছেন। দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন, উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে ৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী প্রার্থিতা তুলে ধরেন।

তিন ইউনিটের কাউন্সিলর অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের সমঝোতার জন্য ১০ মিনিট করে সময় দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো পদের প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় প্রার্থীদের বায়োডাটা ঢাকায় নিয়ে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে এসব বায়োডাটা থেকে যাচাই বাছাই করে যোগ্য ও ত্যাগীদের সমন্বয়ে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি দেয়ার ঘোষণা দিয়ে যান তারা। এর ফলে এখন সকল প্রার্থীর দৃষ্টি ঢাকায়। -আজাদী প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!