Home | ব্রেকিং নিউজ | দুদিনের মধ্যে গেজেট, এইচএসসির ফল শীঘ্রই

দুদিনের মধ্যে গেজেট, এইচএসসির ফল শীঘ্রই

নিউজ ডেক্স : পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হবে শীঘ্রই। এজন্য সংসদে আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাস হওয়ায় গেজেট জারি হবে আগামী দুই দিনের মধ্যে। আর তার পরপরই ফলও প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি।

আজ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে আইন সংশোধনের তিনটি বিল পাসের প্রক্রিয়ার মধ্যে এ খবর জানান তিনি। বিডিনিউজ

এদিন সংসদে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল- ২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১ বিল’ কণ্ঠভোটে পাস হয়। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।

কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পরীক্ষা নেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মত এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না।

সেদিন তিনি জানান, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে। কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় তা সংশোধন করে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের সুযোগ তৈরি করতে হল।

শিক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল তৈরি করে বিল তিনটি অর্ডিন্যান্স আকারে পাস করে সাথে সাথে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু যেহেতু ১৮ জানুয়ারি সংসদ বসছে তার কারণে অর্ডিনেন্স আকারে পাস না করে বিল আকারে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিলটি পাস হয়ে গেলে গেজেট প্রকাশের জন্য দুইদিনের মত সময় লাগবে। তারপরেই আমরা ফলাফল প্রকাশ করতে পারব। কাজেই এটি নিয়ে বিলম্বের কোনো সুযোগ নেই।”

ওই বিল বাছাই কমিটিতে পাঠানোর একটি প্রস্তাব এসেছিল সংসদে। তার জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “একেবারে চিন্তা ভাবনা ছাড়া এভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে তা ভাববার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষাবিদ, কোভিড-১৯ জাতীয় পরামর্শক কমিটি সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

মহামারীর মধ্যে দীর্ঘ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে দূরে রাখতে পেরেছি।”

অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কওমি মাদ্রাসা আগে খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কওমি মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থী এতিম ও দুস্থ। তাদের বেশিরভাগই আবাসিক। সেখানে তারা থাকার সুযোগ না পেলে তাদের জীবন দুঃসহ অবস্থায় পড়বে। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে অনেকগুলো শর্তসাপেক্ষে এটা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানেও মানবিকতা, স্বাস্থ্য সবকিছু বিবেচেনায় নেওয়া হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!