ব্রেকিং নিউজ
Home | উন্মুক্ত পাতা | ড. নদভী এমপির প্রচেষ্টায় শান্ত লোহাগাড়া-সাতকানিয়াকে অশান্তের চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন

ড. নদভী এমপির প্রচেষ্টায় শান্ত লোহাগাড়া-সাতকানিয়াকে অশান্তের চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন

মুহাম্মদ সাইফুল হাকিম : চট্টগ্রাম- ১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী। যিনি পর পর দুইবার নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি একজন আলেম, ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক। যাঁর হাত ধরেই উন্নয়নের মহাসড়কে লোহাগাড়া-সাতকানিয়া। এক সময়ের ত্রাসের সাতকানিয়া- লোহাগাড়া এখন শান্তির নীড়ে পরিণত হয়েছে। এ এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে দিন-রাত সমানতালে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনিই আমার নেতা প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী। তাঁর একজন নগণ্য কর্মী হতে পেরে নিজেকে গর্ববোধ করছি।

আলেম সমাজের প্রাণস্পন্দন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্ণর, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক স্কলার প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী তিনি কথায় নই, কাজে বিশ্বাসী।

যিনি কাজ করেন তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবেই। আর যিনি কোন কাজই করেন না তাকে নিয়ে কোন আলোচনা-সমালোচনাও হবে না। ড. নদভী এমপি মহোদয় লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার উন্নয়নে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাতে একদল হিংসুটে ঈর্শান্বিত হয়ে তাঁর পিছনে উঠে-পড়ে লেগেছে। শান্ত লোহাগাড়া-সাতকানিয়াকে অশান্তি সৃষ্টির পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ড. নদভী এমপি মহোদয়ের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ সত্যের জয় সু-নিশ্চিত। তিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আছেন।

সম্প্রতি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা খুবই দু:খজনক। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক মানবিক বিবেচনায় পূর্বক দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বন্টন হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকমতো বন্টন না হওয়ায় খাদ্য সংকট বৃদ্ধি পায়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বাররা এলাকা ভিত্তিক আত্বীয়করণ, এলাকার পাড়া/মহল্লার মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া, আবার অনেক জন কে একাধিকবার দেওয়া এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে মতের অমিল ব্যক্তিদের ত্রাণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে।

ত্রাণ বিতরণে বৈষম্যের কারণে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে জনগণের মাঝে ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয় অনেক জায়গায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। ফলে সরকারি ত্রাণ সুষ্ঠু ও সুষম বন্টন না হওয়ার অভিযোগ এর ভিত্তিতে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী উপজেলা পরিষদের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হতদরিদ্রের সরকারি ত্রাণের সুষ্ঠু বন্টন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২৫ শতাংশ সংসদ সদস্য ১৫ শতাংশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৬০ শতাংশ পৌরসভা মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অনুকূল বরাদ্দ পূর্বক হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নির্দেশনা প্রদান করেন।

এতে সাংসদ আবু রেজা নদভীর লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল এভাবে সুষ্ঠু বন্টনের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হলে এলাকার সর্বস্তরের আর্তপীড়িত মানুষ ত্রাণ পাবে।

এখানে এমপি মহোদয়ের ২৫ শতাংশ বিতরণ করার বিষয়টি ব্যক্তিগত নয়। এমপি মহোদয় উক্ত ২৫ শতাংশ এলাকার ত্রাণ বঞ্চিত দুস্থ জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করার কথা বলেছেন। উক্ত ত্রাণ তিনি তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন নাই। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা যথার্থ ও সময় উপযোগী ছিল।

এমপি মহোদয়ের নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় এই বিষয়টিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিকৃতভাবে পত্রিকায় উপস্থাপনা করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রয়াস চালায়। আমি এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সঠিক সত্য বস্তনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি।

এছাড়া, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে চরম্বার বিবিবিলায় রকি বড়ুয়া বাড়িতে গভীর রাতে প্রসাশনকে ফাঁকি দিয়ে জামাতের শীর্ষ নেতাদের গোপন বৈঠক হয়। এর কয়দিন পরে বিবিবিলা বৌদ্ধ বিহার ভাঙ্গচুর করা হয়। কেন এই লকডাউন অবস্থা এই বৈঠক হলো ? কারণ এখনো অজানা। কিন্তু জানা দরকার কেন রাতের আধারে দেশের এমন জরুরী অবস্থায় তাদের খোশ গল্পের বিষয় কি ছিল ?

দল মত নির্বিশেষে সবার সচেতন সতর্ক হওয়া দরকার। কারা কিসের লোভে, কার ঈশারায়, কার বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করছে। তারা কি লোহাগাড়া-সাতকানিয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে শান্ত এলাকাকে অশান্তে পরিণত করতে চাচ্ছে। আসুন ড. নদভী এমপির নেতৃত্বে সকলে ঐক্য হই। লোহাগাড়া-সাতকানিয়ায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বোচ্চার হই। আপনি আমি সচেতন হলে বাঁচবে দেশ, ধর্ম ও দল। বেরিয়ে আসবে সরষের ভূত। লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমার নেতা ড. নদভী এমপির কোন বিকল্প নেই। যারা ড. নদভী এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। লেখক : সদস্য, লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!