Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | জন্মভূমিকে দিতে এসেছি, কিছুই নিতে আসিনি : ড. বিজন

জন্মভূমিকে দিতে এসেছি, কিছুই নিতে আসিনি : ড. বিজন

নিউজ ডেক্স : গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত করোনা শনাক্ত কিটের উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, ‘আমি এখন বাংলাদেশের নাগরিক নই। কিন্তু বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। জন্মভূমিকে দিতে এসেছি, আমি এখান থেকে কিছুই নিতে আসিনি। আমি থাকলে এ দেশের কিছু হারানোর সম্ভাবনা নেই, বরং পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’

আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এসব কথা বলেন ড. বিজন কুমার শীল। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার মূল্যবান পেটেন্টকে এ দেশকে দিতে এসেছি। তাও যদি নিতে না পারে, তাহলে তো আমার কিছু করার নেই।’ সাম্প্রতিক সময়ে ড. বিজন কুমার শীলের নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি ড. বিজন বলেছেন, ‘২০০২ সালে সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিসে যোগদান করি। সিঙ্গাপুরে চাকরি নেয়ার পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছিলাম, যেটা নিয়ম ওখানকার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়েছিলাম। আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি।’

অন্যদিকে ড. বিজনের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তকরণ কিটের অনুমোদন এখনও দেয়নি বাংলাদেশ।

১৯৬১ সালে জন্ম নেওয়া নাটোরের কৃষক পরিবারের সন্তান ড. বিজন কুমার শীল বনপাড়া সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে এসএসসি ও পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হয়েছিলেন ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভেটেরিনারি সায়েন্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক পাস করেছিলেন। অণুজীব বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। কমলওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ‘শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ে পিএইচডি করেছেন যুক্তরাজ্যের দ্য ইউনিভার্সিটি অব সারে থেকে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি সুপরিচিত গবেষক ও অণুজীব বিজ্ঞানী হিসেবে। জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!