Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ছাত্রলীগের সম্মেলন : পদপ্রত্যাশীদের অপেক্ষা বাড়ল

ছাত্রলীগের সম্মেলন : পদপ্রত্যাশীদের অপেক্ষা বাড়ল

16150_pic

নিউজ ডেক্স : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এবারের নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রত্যাশী চট্টগ্রামের অনেকেই। কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার লক্ষ্যে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নানান চেষ্টা-তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এদের সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা হলেও মূলত সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির সাথে জড়িত।

এবারের ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে নেতা নির্বাচনে (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) ভোট গ্রহণ না করে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সমঝোতা করার নির্দেশ দিয়েছেন সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই ভোট গ্রহণ না করে গতকালের দ্বিতীয় অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে। দ্বিতীয় অধিবেশন মুলতবি করে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কমিটি চূড়ান্ত করতে গিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন। গতকাল ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন মুলতবি করার পর শীর্ষ পদের যোগ্য প্রার্থীরা নেতৃত্বের আশায় তাকিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে এবার চট্টগ্রাম থেকে বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পেতে পারেন বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির সাথে জড়িত চট্টগ্রামের দুইজন ছাত্রনেতার সাথে কথা হলে তারা গতকাল জানান, আদিত্য নন্দী, সৈয়দ মোহাম্মদ আরাফাত, মাহমুদুল হাসান তুষার, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির, জাইয়্যেদ বিন জলিল, সোহেল আরমানসহ অনেকেই এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য লড়ছেন।

এদিকে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে বলেন, আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে তোমরা, তোমাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত করো। কারণ ত্যাগ করতে শেখ। তোমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজবে যাতে এই সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। বয়সের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগে নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়স ২৭। কিন্তু বর্তমান কমিটি ইতোমধ্যে ৯ মাস অতিক্রম করে ফেলেছে। তাই আমি চাই কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। বয়স এক বছর গ্রেজ দিচ্ছি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২৯তম সম্মেলনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন ২৮ বছরের বেশি বয়সের পদপ্রত্যাশীদের প্রার্থিতা বাতিল করে। আর বৈধ প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয় ৬৬ জন সভাপতি প্রার্থী আর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ১৬৯ জনের প্রার্থিতা।

এদিকে গতকাল পদপ্রত্যাশী ও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সকাল থেকেই ভিড় করেছেন। মিছিলে মিছিলে মুখর করে রাখছেন সম্মেলনস্থল। এর আগে সকালে সেখানে পৌঁছান ছাত্রলীগের সাবেক বেশ কয়েকজন নেতাও। যোগ্য নেতৃত্বের আশায় সবাই তাকিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।

জানা গেছে, গতকাল প্রধানমন্ত্রী গণভবনে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাদের পরামর্শ নেন। তবে নিজের পছন্দ আছে বলেও জানান তিনি। তাই এবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাবে যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতারা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে সাইফুর রহমান সোহাগ সভাপতি এবং জাকির হোসাইন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!