নিউজ ডেক্স : দশটি গরু নিয়ে নগরের বিবিরহাট গরুর বাজারে বসে আছেন ছালমা খাতুন। ক্রেতাদের দেখাচ্ছেন গরু।একইসাথে গরুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ জানাচ্ছিলেন ক্রেতাদের।
গরু লালন-পালনসহ নানা বিষয়ে ছালমা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার ফতেহপুর ইউনিয়নের আব্দুর রউফের মেয়ে তিনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে দর্শন শাস্ত্রে অনার্স এবং রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে একই বিষয়ে মাস্টার্স করেন।
প্রথমবারের মতো গরু নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ছোটভাই গোলাম কবির হিমেলকে। ছোটবেলা থেকে গরু লালন-পালন করতে ভাল লাগতো। বাড়িতে গরু ছিল, সেগুলোকে খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে সব কাজ করতেন।
তিনি জানান, ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা লোন নিয়ে মরিয়াম ডেইরি খামার শুরু করেন। পরবর্তীতে সেই ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। নতুনভাবে আরও ১০ লাখ টাকা লোন নিয়ে খামার বাড়ানো হয়েছে। গত রোববার বিকেলে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানা থেকে গরু ট্রাকে তোলা হয়। সোমবার দুপুর একটার দিকে বিবিরহাট গরু বাজারে পৌঁছান। ট্রাকে তিনজনের ২১টি গরু ছিল। তার মধ্যে ১০টি গরু তার।
বাবা বারবার গরুর খামার করতে নিষেধ করেছিলেন জানিয়ে ছালমা খাতুন বলেন, আমাদের জমিদার পরিবার। জমির ফসলের টাকায় সংসার চলে যায়। আর্থিকভাবে আমরা সচ্ছল। বাবা বলতেন, এতো কষ্ট করার কি দরকার? সংসার তো চলছে। কিন্তু কোনও কাজ আমি ছোট করে দেখি না। ২০১৬ সালে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলাম। করোনার সময় ছাড়তে হয় চাকরি। আমি এখন হালাল ব্যবসা করছি।
ছালমা খাতুনের সঙ্গে আসা মো. রুহুল আমিন বলেন, আমরা গরু পালন করি কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য। সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার দূর থেকে চট্টগ্রামে গরু নিয়ে এসেছি। আশা করি আমাদের গরুগুলো বিক্রি হয়ে যাবে। -বাংলানিউজ