ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চলন্ত ট্রেনে ‘তারকা হোটেল’ বয়দের পরিবেশনা!

চলন্ত ট্রেনে ‘তারকা হোটেল’ বয়দের পরিবেশনা!

নিউজ ডেক্স : তারা হাতে পরেছেন গ্লাভস, মাথায় দিয়েছেন টুপি। মোড়কবদ্ধ প্যাকেটে করছেন খাবার পরিবেশন। শুধু তাই নয়, এতোদিন প্লাস্টিক বা সিরামিক কাপে চা কফি দিলেও, ট্রেন যাত্রীদের এখন দেওয়া হচ্ছে কাগজের কাপে।

এ চিত্র এখন প্রত্যেকটি আন্ত:নগর ট্রেনের। ক্যাটারিং সার্ভিসের কর্মীরা ট্রেন যাত্রীদের নিরাপদ খাদ্য পরিবেশন করছেন এভাবেই। 

বুধবার (৪ মার্চ) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। – বাংলানিউজ

ক্যাটারিং সার্ভিসের কর্মীদের এমন পরিবেশনায় যাত্রীরাও চমকিত হয়েছেন। কেউ কেউ তো বলেই ফেললেন, ‘ট্রেনে খাবার পরিবেশনার ধরন দেখে মনে হচ্ছে, যেন তারকা হোটেল বয়দের পরিবেশনা।’

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী হুমায়ুন কবির বলেন, এতোদিন ট্রেনে যেমন-তেমন করে খাবার দেওয়া হতো। খোলা খাবার, সঙ্গে বাসি খাবারও মাঝে-মধ্যে পরিবেশন করা হতো। চায়ের কাপও ছিলো অপরিষ্কার। ক্যাটারিং সার্ভিসের কর্মীরা ময়লা হাতে এসব খাবার পরিবেশন করতেন।

‘কিন্তু আজকে তারা ট্রেনের নির্দিষ্ট কাপড় পরেছেন। হাতে পরেছেন গ্লাভস, মাথায় দিয়েছেন টুপি। যে খাবারগুলো পরিবেশন করা হয়েছে সেগুলোও ছিলো মোড়কবদ্ধ। আমার কাছে মনে হয়েছে একেবারে নিরাপদ, খাবারের মানও অন্যদিনের তুলনায় ভালো।’

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখার কর্মকর্তা তাসফিয়া বিনতে মালিক বলেন, ট্রেনের আজকের  খাবার পরিবেশনা একেবারে অন্যরকম। মনে হয়েছে, যেনো কোনো উন্নত দেশের ট্রেনে ভ্রমণ করছি। ব্যবহার, খাবার পরিবেশন একেবারে বিদেশি স্টাইলে।

২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ট্রেনে যাত্রীদের কাছে খোলা খাবার বিক্রি ও প্লাস্টিক বা সিরামিক কাপে চা পরিবেশন নিষিদ্ধ করে। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিসকে চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

সিদ্ধান্তগুলো হলো- ট্রেনে খোলা খাবার ও প্লাস্টিক বা সিরামিক কাপে চা বিক্রি না করা, যেসব স্থান বা প্রতিষ্ঠান থেকে খাবার সংগ্রহ করে ক্যাটারিং সার্ভিস, সেসবের নাম ঠিকানা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা এবং যাত্রীদের খাবার পরিবেশন করার পর বাধ্যতামূলক রশিদ বা মেমো দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটা ট্রেনে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানা হচ্ছে। যাত্রীরা যাতে কোনোভাবেই ভোগান্তিতে না পড়েন সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. রেজাউল করিম বলেন, ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিসকে নির্দেশনা দেওয়া হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্দেশনা কার্যকর করতে বলা হয়। তারা নির্দেশনা মেনে ট্রেনে খাবার পরিবেশন করছে। তবে যাত্রীদের কাছে অনুরোধ- তারা যেনো যেকোনো অভিযোগ আমাদের জানায়। আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!