এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চরম্বায় একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কালোয়ার পাড়ার হাতির জোড়া নামক স্থানে মিঠা বেপারীর টিলা থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে কর্তনকৃত ক্ষতবিক্ষত টিলার চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জনৈক মায়মুনা বেগম ও আসহাব উদ্দিন বন্দোবস্তীকৃত ওই টিলার কিছু অংশ ক্রয় করেন। টিলার ওই অংশ কেটে সমান করার দায়িত্ব নেন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জনৈক আবুল হাশেম। তিনি রাতের আঁধারে স্কেভেটর দিয়ে টিলা কেটে ডাম্পট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করছেন। যার টিলার মাটি কাটছেন তারা এলাকার প্রভাবশালী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কর্তনকৃত টিলা ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় কেউ মুখ ভয়ে খুলতে সাহস করছেন না। যেহেতু রাতের আঁধারে টিলা কাটা হয়, সেহেতু মাটি কাটার স্কেভেটর কিংবা পরিবহণের ডাম্পট্রাক ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। তবে মাটি পরিবহণের জন্য ডাম্পট্রাক চলাচল করায় সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।
টিলা কেটে মাটি বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জনৈক আবুল হাশেম। তবে প্রায় এক বছর পূর্বে গুচ্ছগ্রামে তার বসতঘর সংলগ্ন টিলা কেটে জমি বানানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। টিলা কাটার ফলে হুমকীতে আছে গুচ্ছগ্রামের অনেক বসতঘর।
স্থানীয় আবুল কাশেম জানান, রাতের আঁধারে তার বসতঘর সংলগ্ন টিলা কেটে সাঁবাড় করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা টিলার মাটি কাটছেন তা তিনি জানেন না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার শফিকুর রহমান জানান, রাতের আঁধারে টিলা কাটার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে কারা টিলা কাটছেন তিনি জানেন না। টিলা কাটার মাটি ও অবৈধ বালু পরিবহণের ফলে সড়কের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, টিলা কাটা আইনত অপরাধ। তিনি বিষয়টি অবগত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।